ঢাকা : চীনের ভিন্ন মতাবলম্বী মানবাধিকার কর্মী চেন গুয়াংচেং বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। সেই সঙ্গে তার দেশত্যাগের ব্যাপারে চীন-মার্কিন নির্বাসন চুক্তির আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে আসার পর চেনের এমন আবেদনে দেশেই তার নিরাপত্তা নিয়ে সমঝোতার বিষয়টি অনেকটা সংশয়ের মধ্যে পড়ে গেল। আর এই স্পর্শকাতর মুহূর্তে এ আবেদন কারণে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান টানাপোড়েন আরো জটিল করে তুললো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানবাধিকার আইনজীবী চেন গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়ে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন। ছয় দিন অবস্থানের পর গত বুধবার স্বেচ্ছায় দূতাবাস ছেড়ে যান তিনি। বর্তমানে তিনি চীন সরকারের হেফাজতে বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালে রয়েছেন।
জানা যায়, তার এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে বেইজিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে- মার্কিন কর্মকর্তারা তাকে এভাবে আশ্বস্ত করার পর চেন মার্কিন দূতাবাস ছেড়ে যান।
কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে মোবাইল ফোনে বলেছেন, ‘আমি খুব নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। আমার অধিকার এবং নিরাপত্তা এখানে নিশ্চিত নয়। ’
বেইজিংয়ের হাসপাতালে চেনকে এখন মার্কিন কর্মকর্তারা ঘিরে রেখেছেন। সেখানে তার আঘাতপ্রাপ্ত পায়ের চিকিৎসা হচ্ছে। তিনি জানান, সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ কথা শুনে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে চান।
চেন তার স্ত্রী ইউয়ান ওয়েইজিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, তার পরিবারকে এখন চীনা কর্মকর্তারা ঘেরাও করে রেখেছে। তারা তাদের হুমকি দিচ্ছে।
চীনা ভিন্ন মতাবলম্বী আইনজীবী চেন গুয়াংচেং শানডং প্রদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুই সন্তানের জনক। সম্প্রতি এক সন্তান নীতির ভিত্তিতে জোরপূর্বক গর্ভপাত এবং বাধ্যতামূলক জন্মনিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় চীন সরকারের রোষের শিকার হন চেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর