ঢাকা: ইরাকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তারিক আল হাশিমির বিচার শুরু হয়েছে রাজধানী বাগদাদে। তার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া বিচারালয়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বর্তমানে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অবস্থান করা ভাইস প্রেসিডেন্ট বিচার চলাকালীন সময়ে উপস্থিত হবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির বর্তমান সরকার সুন্নি এই শীর্ষ রাজনীতিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে গত ডিসেম্বরে তিনি বাগদাদ ত্যাগ করেন। প্রথমে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি আধা স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে আশ্রয় নিলেও পরবর্তীতে তিনি ইরাক ত্যাগ করেন।
হাশিমি ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের মদদদান ও সুন্নি ডেথ স্কোয়াডগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অভিযোগ আনে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মালিকির সরকার।
এর মধ্যে অন্যতম হলো বাগদাদে সম্প্রতি ছয় বিচারককে হত্যা। এর পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের দায়েও তাকে অভিযুক্ত করা হয়। যদিও হাশিমি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে এসব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
কুর্দি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল থেকে তারেক আল হাশিমি প্রথমে কাতার এবং পরবর্তীতে সৌদি আরব ঘুরে বর্তমানে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন ।
সম্প্রতি ইরাকের জুডিসিয়ারি কাউন্সিলের মুখপাত্র আব্দুল সাত্তার আল বার্কদার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাশিমি এবং তার দেহরক্ষীরা বহু অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার দেহরক্ষীরা এসব অভিযোগ স্বীকার করেছে। এই অপরাধগুলোর বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে বাগদাদে, যার মধ্যে অন্যতম হলো ছয় বিচারককে হত্যা। ’
বিবৃতিতে বলা হয়, হাশেমির দেহরক্ষীদের মধ্যে ১৩ জনকে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং অপর ৭৩ জনকে এখনও আটক রাখা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর ইরাকে শিয়া, সুন্নি ও কুর্দিদের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে সম্প্রদায়গত দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শিয়া অধ্যূষিত সরকার ইরাকের সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত উপ-প্রধানমন্ত্রী সালেহ আল মুতলাককে অপসারণের চেষ্টা করলে এই দ্বন্দ্ব আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে।
বাংলাদেশ সময়:১৫১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর