ঢাকা: এশিয়াতে চোখের ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ অঞ্চলের বড় বড় শহরগুলোতে স্কুল পাস করা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত শিশু মাইওপিয়া বা চোখের ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যায় ভোগে।
অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক বিজ্ঞানীদের একটি গ্রুপ সাম্প্রতিক জরিপে এমন তথ্য পেয়েছেন।
গবেষকরা বলছেন, এ সমস্যা সেই সব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে যারা স্কুলে খুব বেশি পরিশ্রম করে এবং ঘরের বাইরের আলোতে বের হওয়ার সুযোগ খুব কম পায়। অর্থ্যাৎ বিদ্যালয় ও পরিবার থেকে পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপ এবং সুর্যালোকে বের না হওয়ার সমন্বিত কারণে মাইওপিয়া সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানচেটে তারা বলেছেন, এ ধরনের সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পাঁচ জনে একজনের দৃষ্টিক্ষমতা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা শেষ পর্যন্ত অন্ধ হয়ে যায়।
গবেষণাটির পরিচালক অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আইয়ান মরগান জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গড়ে ২০-৩০ শতাংশ মানুষের মধ্যে মাইওপিয়া সমস্যা রয়েছে। একই অবস্থা ব্রিটেনেও।
আর এ অঞ্চলে শিশুদের এ ধরনের সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেছেন- স্কুলে দীর্ঘ সময় ধরে ক্লাস এবং হোমওয়ার্ক করা। শিশুদের জন্য এসব কাজ তাদের চোখে প্রচণ্ড চাপ ফেলে। তবে দিনে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘণ্টা সুর্যালোকে থাকলে এ ধরনে সমস্যা এড়ানো যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পূর্ব এশিয়াতে শেষ দুই প্রজন্মের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষণে পাওয়া গেছে। এখানে ৯০ শতাংশ তরুণের মধ্যে মাইওপিয়া রয়েছে। আর আরো বেশি বয়স্কদের মধ্যে এ সমস্যা ব্যাপক বিস্তৃত।
প্রসঙ্গত, কেউ দুই মিটার দুরত্বের বস্তু অস্পষ্ট দেখলে তাকে মাইওপিয়া সমস্যাগ্রস্ত বলা যাবে। অক্ষিগোলকের সম্প্রসারণের কারণে এ সমস্যা দেখা দেয় আর এটি মূলত তরুণদের বেশি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর