ঢাকা : দেশব্যাপী স্থানীয় নির্বাচনে বিপর্যয় সত্ত্বেও লন্ডনের মেয়রের পদ পুনরায় ধরে রাখতে সক্ষম হলো যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল কনজারভেটিভ পার্টি।
মেয়র পদে পুন:নির্বাচিত হওয়ার পথে জনসন তার প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য বামপন্থী লেবার দলীয় প্রার্থী কেন লিভিংস্টোনকে পরাজিত করেন।
লেবার দল সমগ্র যুক্তরাজ্য জুড়ে কাউন্সিল নির্বাচনে ভালো ফলাফল করলেও পরম আকাঙ্খিত লন্ডন নগরীর মেয়রের পদটি অল্পের জন্য ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। তাদের মনোনীত প্রার্থী লন্ডনের সাবেক মেয়র কেন লিভিংস্টোন মাত্র তিন শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন বরিস জনসনের কাছে।
লন্ডন নগরী ধরে রাখতে পারলেও শুক্রবার ছিলো কনজারভেটিভ পার্টির বিপর্যয়ের দিন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রায় সমগ্র দেশব্যাপী তাদের প্রার্থীরা ধরাশায়ী হয়।
বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর নগরীর ঐতিহাসিক সিটি হলে বক্তব্য দেওয়ার সময় জনসন বলেন.‘ আমি লন্ডন বাসীর কল্যানে লড়াই অব্যাহত রাখবো। ’ এর পাশাপাশি লন্ডনের বাসিন্দাদের নাগরিক জীবনের সাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করারও অঙ্গীকার করেন তিনি।
তবে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো প্রকৃতিবাদী গ্রিন পার্টির উত্থান। গ্রিন পার্টির প্রার্থী জেনি জোনস লিবারেল ডেমোক্রাট প্রার্থী ব্রায়ান প্যাডিককে চতুর্থ স্থানে ঠেলে দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী সিয়োভান বেনিতা পঞ্চম স্থান লাভ করেছেন।
দেশজুড়ে ১৮১ টি কাউন্সিলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। লেবার পার্টি ৮২৩ জন নতুন কাউন্সিলর লাভ করেছে অপর দিকে রক্ষণশীলরা হারিয়েছে ৪০৫ টি আসন। বর্তমান সরকারের শরীক লিবারেল ডেমোক্রাটরা হারিয়েছে ৩৩৬ টি পদ।
তবে নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিলো খুবই কম। মাত্র ৩২ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যান। প্রদত্ত ভোটের ৩৮ শতাংশ পায় লেবার পার্টি অপরদিকে রক্ষণশীলরা পেয়েছে ৩১ শতাংশ। লিবারেল ডেমোক্রেটিকরা পেয়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ ভোট।
জনসন নির্বাচিত হওয়ার পথে প্রতিদ্বন্দ্বী কেন লিভিংস্টোনকে মাত্র তিন শতাংশ বা ৬২ হাজার ৫৩৮ ভোটে পরাজিত করেন। জনসন পেয়েছেন ৫১.৫ শতাংশ ভোট এবং লিভিংস্টোন পেয়েছেন ৪৮.৫ শতাংশ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর