ঢাকা : সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে মিসরের নিরপত্তা বাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে সমবেত হওয়া বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনী টিয়ার গ্যাস ও জলকামান থেকে গরম পানি ছুড়লে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয় শুক্রবার।
স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স বিভাগের সহকারী প্রধান আহমেদ আনসারি জানিয়েছেন, শুক্রবারের ঘটনায় মারাত্মক আহত ৮২ জনকে কায়রোর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিক্ষোভস্থলের আশেপাশের এলাকায় সেনা কর্তৃপক্ষ কার্ফ্যু জারি করলে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে প্রতিবাদকারীরা। এ ঘোষণার পরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিকটবর্তী আব্বাসিয়া স্কয়ার।
এর আগে মিসরের ক্ষমতাসীন সুপ্রিম কাউন্সিল অব আর্মড ফোর্সের সদস্য জেনারেল মুখতার আল মুল্লা টেলিভিশনে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় সংলগ্ন আব্বাসিয়া স্কয়ার এবং আশপাশের রাস্তাগুলোতে কার্ফ্যু জারির ঘোষণা দেন।
বুধবার বিক্ষোভকারীদের ওপর অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় ১১ জন বিক্ষোভকারী নিহত হলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মিসরে। হামলার প্রতিবাদে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী সমবেত হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে রাখা বেষ্টনী ভেঙ্গে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা সেনা সদস্যরাও বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের দমনের চেষ্টা করে।
সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে অভিহিত করেছে। সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানায় ‘স্থানীয় অধিবাসী’ ও পুলিশের সহায়তায় বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে সেনাবাহিনী ৪০ জন ‘দুষ্কৃতকারীকে’ গ্রেফতার করে।
এদিকে শুক্রবারের বিক্ষোভ মিছিলের সময় প্রতিবাদকারীরা কায়রোর তাহরির স্কয়ারে ‘সামরিক শাসন নিপাত যাক’ ব্যানার ঝুলিয়ে রাখে সর্বত্র। নতুন করে শুরু হওয়া বিক্ষোভে মোবারক বিরোধী ‘এপ্রিল ৬’ আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুড ও কট্টরপন্থি সালাফিস্টরাও এই বিক্ষোভে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার সামরিক কাউন্সিল হুশিঁয়ারি দিয়েছিলো, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করলে পরিণতির জন্য প্রতিবাদকারীরা নিজেরাই দায়ী থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিইজরুম এডিটর