ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

আরো ২৩ মৃতদেহ পাওয়া গেলো মেক্সিকোতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৪৯, মে ৫, ২০১২
আরো ২৩ মৃতদেহ পাওয়া গেলো মেক্সিকোতে

ঢাকা : মেক্সিকোর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় মাদক সহিংসতা প্রবণ এলাকা থেকে আরো ২৩ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের নিকটবর্তী একটি ব্রিজে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহগুলোর কয়েকটিকে পাওয়া যায়।

বাকি মৃতদেহগুলো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ময়লা ফেলার ব্যাগে রাখা ছিলো বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের লোভনীয় মাদক পাচার রুটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিবদমান অপরাধী চক্রগুলোর অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের জেরে এদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের লারোডো শহরের বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত মেক্সিকোর সীমান্ত শহর নুয়েভো লারোডোর একটি ব্রিজ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাঁচ পুরুষ ও চার নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

তবে পুলিশ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি কারা এই হামলার জন্য দায়ী। ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে লিপ্ত অপরাধী চক্র জেটাস কার্টেল প্রতিদ্বন্দ্বী গালফ কার্টেলের সদস্যদের অপহরণ করে এভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

এদিকে এর কয়েক ঘণ্টা পরই নুয়েভো লারেডোর একটি পুলিশ স্টেশনের নিকটে আবর্জনার ব্যাগ ও আইস বক্সে রাখা ১৪ ব্যক্তির খণ্ড বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে আগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে।

মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রায় ৫০ হাজার লোক নিহত হয়েছে মেক্সিকোতে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফেলিপ ক্যালদেরন ক্ষমতায় আসার পর ২০০৬ সালে এই মাদক বিরোধী অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন।

গালফ কার্টেলের উপদল হিসেবে কর্মকাণ্ড শুরু করা জেটাস কার্টেল মূলত গঠিত হয় মেক্সিকো সেনাবাহিনীর  স্পেশাল ফোর্স বাহিনীর পলাতক সেনা সদস্যদের নিয়ে। পরবর্তীতে তারা গালফ কার্টেল থেকে আলাদা হয়ে নিজেরই পৃথক একটি অপরাধী সংগঠন গড়ে তোলে।

যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো সীমান্তের লোভনীয় মাদক বাণিজ্যের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে উভয় গ্রুপ বিবাদের জড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক গ্যাং ভিত্তিক লড়াই। যা এখন পুরো মেক্সিকোকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রকেও সমস্যার মুখোমুখি করেছে।

এদিকে মেক্সিকোর ভেরাক্রজ শহরে তিন সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার স্থানীয় সাংবাদিকরা এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভেরাক্রজের তিন সাংবাদিককে অপহরণের পর হত্যা করে তাদের খন্ডবিখন্ডিত লাশ প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে পয়ো:নিষ্কাশনের নালায় ফেলে দেয় অপরাধী চক্র। উল্লেখ্য, ভেরাক্রজে গত ১৮ মাসে সাতজন সাংবাদিক নিহত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।