ঢাকা: সাহেল অঞ্চল বলে অভিহিত পশ্চিম আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চল বর্তমানে মারাত্মক অপুষ্টিজনিত মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে বলে সর্তক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। খরা, ফসলহীনতা ও যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি আরো জটিল থেকে জটিলতর অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলোর মধ্যে মৌরিতানিয়া, মালি ও নাইজারের প্রায় ১০ লাখ শিশু পরিস্থিতির সবচেয়ে মারাত্মক শিকার বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। উল্লিখিত রাষ্ট্রগুলো পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের অর্ন্তভূক্ত।
জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগাম- ডাব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক আর্থার কাজিন শনিবার আল জাজিরাকে বলেন, ‘পশ্চিম আফ্রিকার পরিস্থিতি যেভাবে ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে তাতে অবহেলা করার কোন সুযোগ আর নেই। ’
ডাব্লিউএফপি সূত্রে জানা যায়, মৌরিতানিয়ায় বর্তমানে সাত লাখ শিশু তীব্র খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত এবং পোকামাকড়ের উপদ্রবের কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় নাইজারের জনগণও ব্যাপকভাবে অপুষ্টিতে আক্রান্ত। একই কারণে খাদ্য সংকটের মুখে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ মালির প্রায় ১৭ লাখ মানুষ।
নাইজারের মানগেইজ উদ্বাস্তু শিবিরে আল জাজিরার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় কাজিনের। তিনি বলেন, প্রতিদিনই মালির উত্তরাঞ্চল থেকে বহু মানুষ শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তার আশায় নাইজারে চলে আসছে। স্থানসংকট সত্ত্বেও প্রতিদিন বাসভর্তি মানুষ এ এলাকায় আসছে। এরকম ভয়াবহ অবস্থায় বৈশ্বিক সম্প্রদায় কোনোভাবেই মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মৌরিতানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অধিবাসীদের জীবন ধারণের প্রধান উপায় হচ্ছে গবাদিপশু পালন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে চরম খাদ্য সংকটের কারণে গবাদিপশুগুলো মারা পড়ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
অনাবৃষ্টিজনিত পশুখাদ্য সংকটের কারণে অনেকেই ইতিমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ফেলে চলে যাচ্ছেন। নতুন গোচারণভূমির খোঁজেই তারা স্থানত্যাগ করছেন বলে জানান সেখানকার এক গবাদি পশুপালক।
বাংলাদেশ সময়:১৪২৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর