ঢাকা: ঐতিহাসিক এক যুক্ত বিবৃতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা উভয়পক্ষই শান্তির পথে অগ্রসর হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে তার একজন দূতকে পাঠান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন এখন শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা আশা করছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে চিঠি আদান-প্রদান সেই লক্ষ্য অর্জনের সহায়ক হবে।
জানা যায়, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দেওয়া এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট আব্বাস ২০১০ সালে শান্তি আলোচনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পুনরায় আলোচনা শুরুর ব্যাপারে নিজের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এ চিঠির জবাব নিয়েই ইসরায়েলি কূটনীতিক ইৎসহাক মলকো রামাল্লা যান।
শান্তি আলোচনায় ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারী নাবিল সাথ বলেছেন, ‘ গত এপ্রিলে আব্বাসের চিঠিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ, অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ, ইসরায়েলে বন্দি সব ফিলিস্তিনির মুক্তি এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত গৃহীত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত বাতিলের মতো চারটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ইসরায়েলের অবস্থান পরিষ্কার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ’
তবে নেতানিয়াহুর চিঠিতে কী লেখা ছিল তার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, আলোচনা শুরুর আগেই অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণ বন্ধ করার ফিলিস্তিনি দাবি নেতানিহয়াহু মেনে নেবেন এমনটি আশা তারা করছে না।
তবে ফিলিস্তিনিরা সমঝোতার জন্য প্রস্তুত থাকলে ইসরায়েল কোন ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই আবার শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি আছে- এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর