ঢাকা, বুধবার, ২ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

মিশর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ চলছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৭, মে ২৪, ২০১২
মিশর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ চলছে

ঢাকা: মিশরে ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন বুধবার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হোসনি মোবারক সরকারের পতনের পর সাময়িক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ‍দায়িত্ব পালনকারী আহমেদ শফিককে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা বাদ দিলে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।



বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে উ‍ৎসাহী ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। যথেষ্ট আগ্রহ নিয়েই মানুষ ভোট দিতে আসছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে তিন দশকের একনায়ক হোসনি মোবারকের পতনের পর মিশরের মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছে।

এর আগে সংসদের নিম্নকক্ষ নির্বাচনে ইসলামপন্থি দলগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও তাদের প্রার্থীই বিজয়ী হওয়ারা সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে হোসনি মোবারকের পতনের পর দেশটির ক্ষমতা নেওয়া ‍সামরিক সুপ্রিম কাউন্সিলের সঙ্গে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ব্রাদারহুডের ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হয়েছে। সেই সঙ্গে ইসলামপন্থি আর সেক্যুলারদের মধ্যেও নীরব প্রতিযোগিতা রয়েছে। আর একারণেই মিশরের এ ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে মূলত ইসলামপন্থি আর সেক্যুলারদের মধ্যকার লড়াই বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

নির্বাচনে ইসলামপন্থি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির নেতা মোহাম্মদ মুরসি এবং ইসলামপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মুনেম আবুল ফাতহ।

আর সেক্যুলারপন্থিদের মধ্যে আছেন- বিমান বহিনীর সাবেক কমান্ডার আহমেদ শফিক। গত বছর বিপ্লবের পর সাময়িক সময়ের জন্য মিশরের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আর আমর মুসা, যিনি হোসনি মোববারকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং আরব লিগের সাবেক প্রধান।

তবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হোসনি মোবারকের সময়কার কোনো কর্মকর্তা নির্বাচনে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকরা। কারণ মোবারকের অনুগত কর্মকর্তাদের প্রতি মিশরীয় জনগণের খুব একটা আস্থা নেই।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের। এরপর দেশের শাসনভার গ্রহণ করে সেনাবাহিনীর বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল।   বেসামরিক আইনের আওতায়  স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন তারাই করেছে।

সাবেক সেনা কমান্ডার হোসনি মোবারক ১৯৮১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মিশরের প্রেসিডেন্ট পদ আঁকড়ে ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।