ঢাকা : ‘ডিসকো কুইন’ হিসেবে খ্যাত মার্কিন পপ আইকন ডোনা সামার মারা গেছেন। পাঁচবারের গ্রামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই গায়িকা সত্তরের দশকে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এবং আকর্ষনীয় সঙ্গীত তারকায় পরিণত হন।
ডোনা সামারের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেয় তার পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান বলে জানানো হয় বিবৃতিতে। তবে বিবৃতিতে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া ডোনা সামার ফ্লোরিডার এঙ্গেলউডে স্বামী ব্রুস সুদানোর সঙ্গে বসবাস করতেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বের খ্যাতনামা সঙ্গীত তারকারা। ব্রিটিশ সঙ্গীত তারকা স্যার এলটন জন এবং অস্ট্রেলীয় গায়িকা কাইলি মিনোগ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
ডোনা সামার এমন এক সময়ে সঙ্গীত জগতে আসেন যখন ডিসকো সঙ্গীতের পথচলা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। সঙ্গীত জগতে এসেই তিনি একের পর এক হিট গান দিয়ে শ্রোতাদের মনে নিজের স্থান করে নেন। সত্তর দশকের শেষের দিকে তার গাওয়া ‘সি ওয়ার্কস হার্ড ফর দি মানি’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। নারী অধিকারের আন্দোলনের উত্থানের সমসাময়িক তার এই গান নারী অধিকার আন্দোলনে ব্যাপক অনুপ্রেরণা যোগায়।
‘লাভ টু লাভ ইউ বেবি’ দিয়ে ইউএস চার্টে তার অভিষেক ঘটে। ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তার গাওয়া ১৯টি গান ইউএস টপ চার্টের ‘নাম্বার ওয়ান ড্যান্স হিট’ হিসেবে বিবেচিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত ইতিহাসে একমাত্র ম্যাডোনারই তার থেকে বেশি ড্যান্স হিটের রেকর্ড আছে।
তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র গায়িকা যার পরপর তিনটি গান ‘ডাবল এলপি’ হিট হয়, এগুলো হলো ‘লাইভ এন্ড মোর’ , ‘ব্যাড গার্লস’ এবং ‘অন দা রেডিও’। এছাড়া তিনিই প্রথম নারী শিল্পী ১৩ মাসের মধ্যে যার চারটি গান ‘নাম্বার ওয়ান হিট’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তার সর্বশেষ অ্যালবাম ক্রেইয়ন বাজারে আসে ২০০৮ সালে। সঙ্গীতের পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন শোতেও নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের আমেরিকান আইডল অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়:১২৩৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর