ঢাকা : মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অবরোধের মেয়াদ আরো বাড়ালেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সরকারে অনেক সংস্কার আনা সত্ত্বেও দেশটিতে রাজনীতির বিকাশ এখনো ‘অঙ্কুরে’ রয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ওবামা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এশিয়ার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেক দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া মিয়মানমারের বর্তমান দৃশ্যত বেসামরিক সরকারের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক নেতাদের আহ্বানও স্পষ্টত উপেক্ষা করলেন তিনি।
অবশ্য সম্প্রতি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিও সেনা সমর্থিত সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। মিয়নামারের বর্তমান পরিবর্তন স্থায়ী নয় এবং অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে বলেছেন তিনি।
অবরোধ দীর্ঘায়িত করার ব্যাপারে ওবামা বলেছেন, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দান, নৃগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে অস্ত্রবিরতির আলোচনা এবং অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি পার্টির সঙ্গে খোলামেলা সংলাপ শুরু- এসব মিয়ানমারের বড় ধরনের অগ্রগতি। তবে রাজনীতির বিকাশ এখনো অঙ্কুরেই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তি না পাওয়া রাজনৈতিক বন্দি, চলমান সহিংসতা এবং নৃগোষ্ঠী এলাকাগুলোতে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের ঘটনায় আমাদের উদ্বেগ এখনো রয়েছে। ’
আর এ পরিস্থিতি আরো উন্নয়নের ব্যাপারে চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর অবরোধ অব্যাহত রাখা দরকার উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের কাছে একটি বার্তা দিয়েছেন ওবামা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে প্রেসিডেন্টের সম্মতি লাগে। কয়েক দশক ধরে সামরিক জান্তার শাসনাধীনে দেশটিতে মার্কিন বিনিয়োগ এবং রপ্তানি নিষিদ্ধ রয়েছে।
এছাড়া মিয়ানমারের শাসকশ্রেণীর একাধিক ব্যক্তির সম্পদ এবং ভ্রমণের ওপরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর