ঢাকা: বিদ্যুতের ব্যবহার হ্রাস করতে দেশের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি আহবান জানিয়েছে জাপান সরকার। এর অংশ হিসেবে আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে সম্ভাব্য বিদ্যুৎ সঙ্কট মোকাবেলা করতে বিদ্যুতের ব্যবহার কমপক্ষে ১৫ শতাংশ কমানোর জন্য সব বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্রাহকদের প্রতি আহবান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ৫০ টি পরমাণু চুল্লি বন্ধ করে দেওয়ায় জাপান বর্তমানে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখোমুখি। আসন্ন গরমের মৌসুমকে সামনে রেখে এই সঙ্কট আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের ভূমিকম্প ও ভয়াবহ সুনামিতে পরমাণু শক্তি চালিত ফুকুশিমা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আশপাশের পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। এরপর থেকেই পরমাণু শক্তিচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে জনমত জোরদার হয় জাপানে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেমবার মাস পর্যন্ত গরমের মৌসুম চলাকালে বিদ্যুতের ব্যবহার কম করার এই আহবান বলবৎ থাকবে।
জাপানে সর্বশেষ পরমাণু চুল্লিটি দুই সপ্তাহ আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখোমুখি হলেও বন্ধ হওয়া কোনো চুল্লি নতুন করে চালুর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে সরকার। জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানানো হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে জাপানের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হবে।
জরিপে দেখা গেছে বিদ্যুৎ সঙ্কটে জাপানের প্রায় সব বৃহৎ শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতিমধ্যেই জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন সংক্রান্ত কার্য্যক্রম দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
উল্লেখ্য, জাপান ছিলো পৃথিবীর অন্যতম পরমাণু বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী দেশ। ফুকুশিমা ট্রাজেডির আগে জাপানের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ৩০ শতাংশেরও বেশি জোগান দিতো পরমাণু চুল্লিগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর