ঢাকা: চীনের বহুল আলোচিত ভিন্নমতাবলম্বী চেন গুয়ানচেঙ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে চীন ত্যাগ করেছেন। এর ফলে তাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মাসব্যাপী কূটনৈতিক রশি টানাটানির অবসান হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪০ বছর বয়সী চেন তার স্ত্রী ও দুই শিশু নিয়ে বর্তমানে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৮৮ তে রয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে তিনি বেইজিংয়ের বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে চীন ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নিউ জার্সি বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা তাকে বহনকারী বিমানটির।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড চেনের চীনত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চেন তার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে চীন ত্যাগ করেছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কাংখিত পড়াশোনা করতে পারবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে শনিবার সকালের দিকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক খ্রিস্টান সাহায্য সংস্থা চায়না এইড জানিয়েছিলো, চেন গুয়ানচেঙকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে চীন ত্যাগের অনুমতি দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলে চীন ত্যাগের সময় চেন এবং তার পরিবারের কাছে কোনো পাসপোর্ট ছিলো না। পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় কিভাবে তার দেশ ত্যাগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো তা এখনও রহস্যাবৃত একটি বিষয় হয়ে রয়েছে।
চীন সরকারের এক সন্তান নীতির বিরোধিতা করায় তাকে ২০০৬ সালে কারারুদ্ধ করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। কারাগার থেকে ২০১০ সালে ছাড়া পেলেও তাকে এতদিন চীনের শানডং প্রদেশের বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিলো। তবে গত এপ্রিল মাসে গৃহবন্দিত্ব থেকে পালিয়ে বেইজিংয়ে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি।
পরবর্তীতে তাকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুরু হয় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কূটনৈতিক রশি টানাটানির ঘটনা। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে তার চীন ত্যাগ এই নাটকের যবনিকাপাত ঘটালো বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়:২২০০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর