ঢাকা, বুধবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

নিভৃত নিসর্গ: মার্কিন পর্যটকের দৃষ্টিতে চট্টগ্রাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩৩, মে ১৯, ২০১২
নিভৃত নিসর্গ: মার্কিন পর্যটকের দৃষ্টিতে চট্টগ্রাম

ঢাকা: সম্প্রতি স্থানীয় একটি চিকিৎসা সেবা সংগঠনের আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম ঘুরে গেছেন একদল মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী। এই দলেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অংশ নেন একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ব্লগার।



চট্টগ্রাম ঘুরে এখানকার বিভিন্ন দিক তিনি তুলে ধরেন তার লেখায়। লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ‘সান ফ্রান্সিকো ক্রনিকল’ পত্রিকায়। পত্রিকাটির ১৮ মে শুক্রবার সংখ্যায় ভ্রমণ পাতায় ‘চিটগং, বাংলাদেশ, অ্যান ইনভিগোরেটিং প্লেস’ শিরোনামে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়।

লেখাটিতে মূলত বিবৃত হয়েছে চট্টগ্রাম ভ্রমণের সময়ে লেখকের অর্জিত ব্যক্তিগত বিচিত্র অভিজ্ঞতার অনুভূতি। এতে বিধৃত লেখকের অনুভূতিকে বাংলানিউজের পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো। আশা করি, একজন বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন দিক পাঠকদের মনে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করবে-
তিনি উড়ে এসেছিলেন সুদূর মার্কিন দেশ থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে, স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা সংগঠনের আমন্ত্রণে। তবে একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার ও ব্লগার হিসেবে তার সদা বৈচিত্র্যপিয়াসী মন ঠিকই খুঁজে পেয়েছিলো এদেশের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য।

গাড়ির হর্ন, মানুষের ভিড় আর বিশৃংখলাময় নগরে রিকশায় চড়ে ঘুরতে গিয়ে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন উত্তেজনার পরশ। তার ভাষায় , ‘সত্যিকারের উত্তেজনা কি তা টের পেয়েছিলাম ব্যস্ততম সময়ে রিকশায় করে চট্টগ্রাম ঘুরতে গিয়ে। ’

পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারও তাকে দিয়েছিলো ভালো লাগার অনুভূতি। তবে সেন্ট মার্টিন্সের সৈকতে তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন সত্যিকারের প্রশান্তি। তার মতে, কেউ যদি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যকে সত্যিকারভাবে উপলব্ধি করতে চান তবে তার অবশ্যই সেন্টমার্টিন্সে যাওয়া উচিৎ।

বাংলাদেশ থেকে তিনি উপহার হিসেবে নিয়ে যান তার বোন ও তার নিজের জন্য সোনার নাকফুল। তিনি এ এলাকা ঘুরেছেন কোনো গাইডের সাহায্য ছাড়াই। তার কাছে এটিকেই মনে হয়েছে দেশের মানুষকে জানার এবং সৌন্দর্যকে উপভোগ করার সবচেয়ে ভালো উপায়। যদিও এদেশে ইংরেজি জানা গাইড সহজলভ্য।

তবে বাংলাদেশের যা তার সবচেয়ে ভালো লেগেছে তা হলো এখানকার মানুষের বন্ধুত্বপরায়নতা ও নি:স্বার্থ আতিথেয়তা। তার মতে, তিনি এদেশে ভ্রমণের সময় যেভাবে সর্বত্র মানুষের নি:স্বার্থ আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখেছেন তা পৃথিবীর অনেকদেশ ঘুরলেও তা আর কোথাও পাননি।
 
নিজের অনুভূতি এভাবে প্রকাশ করে তিনি আবারও ফিরে আসতে চেয়েছেন এই দেশে, চট্টগ্রামে, কক্সবাজারে আর সেন্টমার্টিন্সের বালুকাবেলায়।

বাংলাদেশ সময় : ২২২২ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর;

জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর 
Jewel_mazhar@yahoo.com
 
 
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।