ঢাকা : দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চয়তা আর কূটনৈতিক রশি টানাটানির অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে অবতরণ করলেন চীনের আলোচিত ভিন্নমতাবলম্বী চেন গুয়ানচেঙ। বেইজিং থেকে বিমানে করে সপরিবারে নিউজার্সির বিমানবন্দরে অবতরণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে কাংখিত জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন চেন।
ভিন্নমতাবম্বী এই অন্ধ আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীর চীনা গৃহবন্দিত্ব থেকে পলায়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত কূটনৈতিক লড়াইয়ের সূচনা করে। সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় শানডং শহরের নিজ বাড়িতে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাকে গৃহবন্দি করে রাখে চীনা কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে গত এপ্রিলে কৌশলে পালিয়ে বেইজিংস্থ মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণের পর নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ফেলোশীপ লাভ করেছেন।
নিউইয়র্কের উপকন্ঠে গ্রিনউইচ গ্রামে অবস্থিত নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হন সমর্থক, মানবাধিকার কর্মী এবং কৌতুহলী নিউইয়র্কবাসী। এই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকেই এখন থেকে সপরিবারে বসবাস করবেন তিনি।
কালো চশমা পরিহিত অবস্থায় ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটার সময় চেনকে কোনো বিজয়ী বীরের মতো না মনে হলেও নিউইয়র্কে তাকে দেখা হচ্ছে একজন বীর হিসেবেই। উপস্থিত অনেকেই এসময় তাকে ফুল উপহার দেন।
তবে চেন এ সময় চীনা কর্তৃপক্ষের প্রতি বিরুপ কোনো মন্তব্য করেননি। চীনা কর্তৃপক্ষ তার ব্যাপারে যথেষ্ট ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছে বলেও এসময় উল্লেখ করেন তিনি। তবে চীনে অবস্থান করা তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন চেন। পাশাপাশি তাকে সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর