ঢাকা: তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে ব্যাপকহারে ব্যবহৃত ওষুধগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। এর পাশাপাশি ভুয়া ওষুধও ব্যবহৃত হচ্ছে অবাধে।
ফগার্টি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের গবেষণায় এই বিপর্যয়কর তথ্য উঠে এসেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চল থেকে সংগৃহীত চার হাজার নমুনা ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এগুলোর সবই নিম্নমানের কিংবা অকার্যকর। ওষুধগুলো দেদারসে ব্যবহৃত হলেও এগুলোর আসলে ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধের কোন ক্ষমতাই নেই।
গবেষকরা মনে করেন, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে যেমনটি দেখা যাচ্ছে, পরিস্থিতি আসলে তার চেয়েও অনেক ভয়াবহ। কারণ, ওষুধগুলোর অকার্যকারিতা সম্পর্কিত বেশিরভাগ তথ্যই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছায়না। এছাড়া ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও অব্যাহতভাবে তথ্য গোপন করে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এসব অঞ্চলে ম্যালেরিয়া রোগজনিত ভয়াবহতা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষক দলের প্রধান গৌরবিকা নায়ার বলেছেন, ‘বিশ্বের চিহ্নিত ১০৬টি দেশের ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন মানুষ ম্যালেরিয়া ঝুঁকির মাঝে রয়েছে। ’
তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ থেকে ১০ লক্ষাধিক মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
ম্যালেরিয়া উপদ্রুত অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক হারে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ জেনে কিংবা না জেনে এমনকি কখনো কখনো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ম্যালেরিয়ার ওষুধ সেবন করছে। এসব অনিয়ম পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় খুব কম ক্ষেত্রেই দোষীরা শাস্তি পায় বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর