ঢাকা: আগামী মাসে চীন সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদ। বেইজিংয়ে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র মোহাম্মদ আলী জিয়ায়েই বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চলমান উত্তেজনা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে তেহরানের কূটনৈতিক সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদের চীন সফরকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ইরানি প্রেসিডেন্টের চীন সফরের ব্যাপারে মুখপাত্র মোহাম্মদ আলী জিয়ায়েই বলেছেন, মধ্য এশিয়ার সহযোগিতা সংগঠন সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের একটি বৈঠকে যোগ দিতেই বেইজিং যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। বেইজিং এবং মস্কো এ বৈঠকের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
সফরের দিন তারিখ নির্দিষ্ট না হলেও মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী ৭ জুনের মধ্যে সফর অনুষ্ঠিত হবে তা প্রায় নিশ্চিত। তবে সফরের ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
সাংহাই কোঅপরারেশন অরগানইজেশনের ওই বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। ৬ ও ৭ জুন এ দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও।
বেসামরিক কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পরমাণু কমসূটি পরিচালনা করছে ইরানের এ দাবির প্রতি আস্থা নেই যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের। তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এ অভিযোগে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ আরোপের ব্যাপারে আবারো পশ্চিমা দেশগুলো একমত হয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে চীন ও রাশিয়া ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। বিশেষ করে চীন ইরানের ব্যাপারে পশ্চিমা মনোভাবের কঠোর সমালোচনা করে।
প্রেসিডেন্ট আহমেদিনেজাদ সর্বশেষ চীন সফর করেন ২০১০ সালে সাংহাই বিশ্ববাণিজ্য মেলায়।
সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনে ইরান পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে। সংগঠনটির অন্য সদস্যরা হলো- চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। সংগঠনটি সন্ত্রাস দমনসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর