ঢাকা: দেশের ভেতরে ড্রোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার সংগঠন আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এএসএলইউ)। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করার ফলে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং এমনকি জানমালের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে মনে করছে তারা।
সাধারণত, জঙ্গিবাদী সংগঠনের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে ড্রোন হামলা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ অভিবাসীর অনুপ্রবেশের ওপর নজরদারি করতেও যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন ব্যবহার করে। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পুলিশ প্রশাসনকে আমেরিকাজুড়েই ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। দূর নিয়ন্ত্রিত ড্রোনগুলোতে ইনফ্রারেড সেন্সর এবং হাই রেজুলেশন ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়। অনেক ড্রোন আবার মারত্মক প্রাণঘাতী অস্ত্রশস্ত্রেও সজ্জিত থাকে।
ড্রোনের এই অবিরাম ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এএসএলইউ। সংগঠনটির কৌঁসুলি ক্যাথারিন ক্রাম্প বলেন, ‘কোন ধরনের প্রাণঘাতী উপকরণ ব্যবহার করা হোক বা না হোক ড্রোনের এমন যথেচ্ছ ব্যবহার কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ’
ক্রাম্প এটিকে মারাত্মক সমস্যা হিসেবে দেখছেন। কারণ ড্রোনগুলো অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ড্রোন পরিচালনাকারি সশরীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন না বলে হামলার ফলে সংশ্লিষ্ট স্থানে ঠিক কী ঘটছে সে ব্যাপারে তার কোন স্পষ্ট ধারণা থাকে না।
তাছাড়া প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে যেকোন সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি ড্রোনে ব্যবহৃত ক্যামেরাগুলো সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য হুমকি হিসেবেই দেখছেন ক্রাম্প।
এসব সমালোচনার মুখে টেক্সাসে মন্টগোমারি কাউন্টি শেরিফ কার্যালয়ের চিফ ডেপুটি ম্যাকডেনিয়েল জানিয়েছেন, তার দপ্তর ড্রোনে রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
এছাড়া, দেশের অভ্যন্তরে ড্রোনের এই ব্যাপক ব্যবহারে আমেরিকানদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছে এএসএলইউ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার ও জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর