ঢাকা: সরকার বিরোধী আন্দোলন বিক্ষোভে উত্তাল সিরিয়ার সবচে অস্থিতিশীল প্রদেশ হোমসে শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি শিশু রয়েছে।
বিরোধীরা আরো জানিয়েছে, সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ভারী গোলাবর্ষণে হোলা শহরে বহু মানুষ আহত হয়েছে।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এবং বিরোধীদের লোকাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, হোলা শহরে সরকারি বাহিনী ট্যাঙ্ক, মর্টার এবং ভারী মেশিন গান ব্যবহার করেছে। কয়েকটি বসতবাড়ি লক্ষ্য করে ভারী গোলা বর্ষণ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।
শুক্রবারের ঘটনায় হতাহতের এ সংখ্যা যদি সঠিক হয় তাহলে গত এপ্র্রিলে সরকারের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বিরোধীদের ওপর এটিই সবচে ভয়াবহ হামলার ঘটনা।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়ার এ বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে বিরোধীরা কয়েকটি শহরের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলকে দেওয়া এক চিঠিতে বান বলেছেন, পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। সেই সঙ্গে সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষকে যে কোনো ধরনের অস্ত্র ব্যবহারে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সিরিয়ার আরো কয়েকটি স্থানে সহিংসতায় কমপেক্ষ ২০ জন নিহত হওয়ার খরব পাওয়া গেছে। মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, জুমার নামাজের পর দশ সহস্রাধিক মানুষ রাস্তায় বিক্ষোভ বের করলে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
তবে সিরিয়াতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারায় সেখানকার সঠিক পরিস্থিতি জানা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে জাতিসংঘ ও আরব লিগের বিশেষ দূত কফি আনানের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাতিসংঘের এ সাবেক মহাসচিব খুব শিগগির দামেস্ক সফরে যাবেন।
ওই মুখপাত্র সফরের নির্দিষ্ট দিন তারিখ জানাতে রাজি হননি। তবে জেনেভায় কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে কফি আনান দামেস্ক সফরে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হিসাবে সিরিয়াতে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বিরোধী আন্দোলন সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তবে সরকারের দাবি, সিরিয়াতে কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ যারা আল কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর