ঢাকা: ডাচ বংশোদ্ভুত নাৎসি যুদ্ধাপরাধী ও নেদারল্যান্ডের অন্যতম ‘ওয়ান্টেড’ ব্যক্তি কাস ক্যারেল ফেবার জার্মানিতে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৯০।
ফেবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি সেনাদলের বিশেষ বাহিনী এসএস ইউনিটে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন নেদারল্যান্ডের অন্যতম ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ যুদ্ধাপরাধী। ১৯৪৭ সালে ওয়েস্টারবর্ক ট্রানজিট ক্যাম্পে ২২ ইহুদিকে হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। পরবর্তীতে তার প্রাণদণ্ড মওকুফ করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৫২ সালে তিনি জেল থেকে পালিয়ে জার্মানি যান এবং জার্মান নাগরিকত্ব গ্রহণ করে ব্যাভেরিয়াতে বসবাস শুরু করে সেখানেই মারা যান।
দক্ষিণ ব্যাভিরিয়ান শহর ইনগোসটাতের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তিনি কিডনী জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফেবার জার্মানিতে একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে বসবাস করে আসলেও তাকে নেদারল্যান্ডে ফিরিয়ে শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয়। তবে জার্মানি তাকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে।
নেদারল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হারলেমের বাসিন্দা ফেবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কমান্ডো ফেল্ডমেইজার নামের একটি এসএস ইউনিটে কাজ করতেন। এই গ্রুপটি র্জামান বিরোধী আখ্যা দিয়ে ৫০ জন ডাচ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে বলে অভিযোগ করা হয়।
২০১০ সালে একই এসএস ইউনিটের সদস্য হেনরিক বোয়েরকে জার্মান শহর আচেনের একটি আদালত ডাচ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বোয়ের ফেবার এবং ফেবারের ভাই পিটার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিলভার পাইন অপারেশনে অংশ নেন। পিটার ফেবারকে ১৯৪৮ সালে যুদ্ধপরাধের দায়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১২
সম্পাদনা:রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর