ঢাকা: প্রতিবেশী রাষ্ট্র রুয়ান্ডা গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর বিদ্রোহ উস্কে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ বলেছে, রুয়ান্ডা কঙ্গোর বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও সমর্থন দিয়ে সহযোগিতা করছে।
কঙ্গোর এক বিদ্রোহী সেনার বরাত দিয়ে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতদের সেনা বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়ার অছিলা করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রুয়ান্ডা। এর পর তাদের কঙ্গোতে যুদ্ধ করার জন্য সীমান্ত পাড় করে দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে কঙ্গোর কিছু সেনা কর্মকর্তা অভ্যুত্থান করলে দেশজুড়ে সংঘাতের সূচনা হয়। বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকে তুতসি নৃগোষ্ঠীর যাদের রুয়ান্ডার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ২০০৯ সালে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে অনেক তুতসি কঙ্গো সেনা বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত হয়।
কঙ্গো-রুয়ান্ডার এই বিস্তৃত অঞ্চলে মধ্য ৯০’এর দশক থেকে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। রুয়ান্ডা গণহত্যার পর হুতু নৃগোষ্ঠীর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ কঙ্গোতে পালিয়ে গেলে দু’দেশের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক সহিংসতায় দশ হাজারেরও বেশি মানুষ পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যবর্তী সীমান্তে পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা যায়।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাহাড়ে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুতরা রুয়ান্ডার নাগরিক। এদের সেনা বাহিনীতে নিয়োগের নাম করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রুয়ান্ডা সরকার। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের অস্ত্র দিয়ে কঙ্গো পাঠানো হচ্ছে। এদের অনেককে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের এ অভিযোগের ব্যাপারে রুয়ান্ডা সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর