ঢাকা, শনিবার, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

প্রথম দফায় ভুলের পর শিরি বিবাসের মরদেহ ফেরত দিল হামাস  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
প্রথম দফায় ভুলের পর শিরি বিবাসের মরদেহ ফেরত দিল হামাস  

হামাস গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) চারটি মরদেহ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে। যার মধ্যে বহুল আলোচিত শিরি বিবাস এবং তার দুই সন্তানের মরদেহ থাকার কথা ছিল।

কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তাদের হস্তান্তরিত মরদেহগুলোর মধ্যে শিরি বিবাস নেই।

এতে চুক্তি অনুযায়ী জিম্মি শিরি বিবাসের মৃতদেহ ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য হামাসকে এর খেসারত দিতে হবে ব্লে হুমকি দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতা নিয়াহু।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমরা শিরিকে এবং আমাদের জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞতার সঙ্গে কাজ করব। চুক্তির এই নিষ্ঠুর ও জঘন্য লঙ্ঘনের জন্য হামাসকে চরম মূল্য দিতে হবে।

প্রতিক্রিয়ায়, হামাস নেতানিয়াহুর হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা নেতানিয়াহুর দাবিগুলো সাবধানতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং ফলাফল স্বচ্ছভাবে ঘোষণা করবে।

হামাস কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু আল জাজিরা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি যে আমরা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভুল হতে পারে। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি।  

আল-নুনু বর্তমান সংকটের জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করে বলেন, হামাস যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে যুদ্ধের শুরুতেই বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু ইসরায়েলি নেতা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই সময়ে, সব বেসামরিক বন্দিরা জীবিত ছিলেন।

পরে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি  হামাসের কাছ থেকে আরও একটি মরদেহ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে, যা হামাসের দাবি অনুযায়ী ইসরায়েলি বন্দি শিরি বিবাসের।

একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রেড ক্রস নিশ্চিত করেছে যে তারা বিবাসের দেহাবশেষ পেয়েছে, ইসরায়েলি আর্মি রেডিও এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলি ফরেনসিক টিম বর্তমানে মরদেহটি পর্যবেক্ষণ করছে।  

শিরি বিবাস এবং তার দুই সন্তান ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে হামাসের হাতে অপহৃত হন। হামাস জানায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজার ইসরায়েলি বোমা হামলায় তারা প্রাণ হারিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।