ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ন্যাটোর সদস্যপদের বিনিময়ে পদত্যাগ করতেও রাজি জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
ন্যাটোর সদস্যপদের বিনিময়ে পদত্যাগ করতেও রাজি জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দেশের শান্তি ও ন্যাটোতে সদস্যপদ প্রাপ্তির বিনিময়ে পদত্যাগ করতে রাজি আছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে রবিবার কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এ কথা বলেন।

জেলেনস্কি এমন সময় এই মন্তব্যটি করলেন যখন রাশিয়া ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে।  

ইউক্রেন এয়ারফোর্সের মুখপাত্র ইউরি ইগনাট বলেছেনে, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ড্রোন হমলা করা হয়েছে। ১৩৮ টি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা ধ্বংস করা গেছে এবং ১১৯ টি ড্রোন কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।  

তিনি আরো বলেন, এদিন ইউক্রেনের আকাশে ২৬৭টি ড্রোন দেখা গেছে যা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর সবচেয়ে বড় একক আক্রমণের রেকর্ড।

এই হামলা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার পাশাপাশি ন্যাটোর মত সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার গুরুত্বকে আরও একবার তুলে ধরে।  

এই বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যদি আমাকে পদ ছেড়ে দিতে হয়, আমি প্রস্তুত। ন্যাটোতে সদস্যপদ পাবার বিনিময়ে আমি এটা করতে রাজি আছি।

এদিকে গত মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমাগত জেলেনস্কির তীব্র সমালোচনা করে আসছেন। তাছাড়া ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদের ৫০ শতাংশ অংশিদারিত্ব চেয়েও প্রত্যাখ্যাত হন ট্রাম্প। এরপর তিনি ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ইতোমধ্যে প্রদান করা ৩৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে খনিজের ভাগ না দিলে ইলন মাস্কের স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।

জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৩৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যাপারে বলেন, ওই অর্থ অনুদান ছিল, ঋণ নয় এবং এর জন্য ট্রাম্প খনিজের মালিকানা দাবি করতে পারেন না।

জেলেনস্কি আরও বলেন, তিনি কেবল মধ্যস্থতারকারী হিসেবে নয় ইউক্রেনের সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকে অংশীদার হিসেবে চান। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই চাই এটি (যুক্তরাষ্ট্র) মধ্যস্থতার চেয়ে বেশি কিছু হোক’।

তিনি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পুতিনের সঙ্গে যেকোনো বৈঠকের আগে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।

এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বলেছে, শিগগির যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ বিষয়ক একটি চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনও ইঙ্গিত দিয়েছে যে, একটি চুক্তি হতে পারে।  

আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই যুদ্ধ চতুর্থ বছরে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের মধ্যেও, একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। ইউক্রেন, ইউরোপীয় মিত্ররা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেকেই সংঘাতের অবসানে  নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪,২০২৫
এসএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।