মিয়ানমারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। অনেকে এখনো নিখোঁজ।
এরমধ্যেই মিয়ানমারে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অংশজুড়ে বাড়িঘর, ধর্মীয় স্থাপনা, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, হোটেল, হাসপাতাল সবই ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা কয়েকদিন ধরে ধসে পড়া ভবন থেকে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করছেন।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, ধসে পড়া সেতু, ভেঙে পড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং গৃহযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট জটিলতার কারণে উদ্ধার অভিযান বেশ বাধার মুখে পড়েছে।
ডব্লিউএইচও জানায়, দুর্যোগে আহত ব্যক্তিদের সেবা দেওয়াও এখন চ্যালেঞ্জের। মিয়ানমারে এখন মানসিক রোগের সেবা, অস্ত্রোপচার পরবর্তী সেবা, রক্তদান, চেতনানাশক, প্রয়োজনীয় ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।
সোমবার (৩১ মার্চ) মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবারের ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই হাজার ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। একজন মুখপাত্র জানান, আরও ২৭০ জন এখনো নিখোঁজ। তিন হাজার ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের অনুমান, নিহতের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, কমপক্ষে তিনটি হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে। ২২টি হাসপাতাল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে হতাহতের পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। সংস্থাটি এর আগে জরুরি সহায়তার জন্য আট মিলিয়ন ডলার সাহায্যের জন্য জরুরি আবেদন জানায়।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর একটি মান্দালয়। মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম ওই শহরটিতে ১৭ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। সেখানে টানা তৃতীয় রাতের মতো দুর্যোগ কবলিত মানুষ রাস্তায় অবস্থান করেন। শহরটির এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটিও খালি করা হয়েছে। শত শত রোগীকে বাইরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৫
এমএইচডি/আরএইচ


