ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই ‘ফুল স্কেল’ যুদ্ধ প্রস্তুতিতে তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০:৫৮, জুন ২০, ২০২৫
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই ‘ফুল স্কেল’ যুদ্ধ প্রস্তুতিতে তুরস্ক

ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এবার সম্ভাব্য যুদ্ধের বিস্তার ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় যাচ্ছে তুরস্ক।

সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আকাশে টহল শুরু করেছে দেশটির যুদ্ধবিমান। আঙ্কারা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে আর কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না তারা।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ‘ফুল স্কেল’ যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দেশটি। বিশেষ করে ইরান-তুরস্ক সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা ও সামরিক নজরদারি বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, সম্ভাব্য যেকোনো আগ্রাসন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই তুরস্ক নিজস্ব রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। আকাশসীমায় টহলে নেমেছে কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট ফোর্সের যুদ্ধবিমান। ইসরায়েলি ফাইটার জেট কোনোভাবে আন্তর্জাতিক সীমা লঙ্ঘন করতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলকে সরাসরি ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেন, ইরান আত্মরক্ষা করছে, আর সেটি পুরোপুরি বৈধ। নেতানিয়াহু এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হুমকি।

এমনকি গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গ টেনে এরদোয়ান নেতানিয়াহুকে তুলনা করেছেন নাৎসি নেতা হিটলারের সঙ্গে।

তুরস্কের এই সামরিক তৎপরতা ও কড়া ভাষার কূটনৈতিক বার্তা বিশ্লেষকরা দেখছেন এক নতুন মাত্রা হিসেবে। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তাপ আর শুধু সীমান্তে সীমাবদ্ধ থাকবে না, সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে আরও বৃহৎ পরিসরে।

একদিকে যখন তুরস্কের মহড়া চলছে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে প্রায় চিড়ে-ফুঁড়ে করে দিচ্ছে ইরান। পশ্চিমা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, ইরানের পারমাণবিক হামলার কবলে পড়েছে ইসরায়েল। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও জায়নিস্ট রাষ্ট্রটিতে হামলা চালায় ইরান। এর পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল সরকার। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেছেন বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পুতিনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এই সংকট পরিস্থিতিকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া।

এমজে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।