গাজার পশ্চিমাঞ্চলে সাগর তীরবর্তী জনপ্রিয় একটি ক্যাফেতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই।
গাজার হামাস-শাসিত সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র জানান, উপকূলবর্তী আল-বাকা ক্যাফেটেরিয়া থেকে এখন পর্যন্ত ২০টি মরদেহ এবং বহু আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্যাফেটি ছিল উন্মুক্ত স্থানে, যেখানে সমুদ্রের ধারে তাঁবু টানিয়ে বসার ব্যবস্থা ছিল। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণে গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় একটি প্রোডাকশন প্রতিষ্ঠানের চিত্রগ্রাহক আজিজ আল-আফিফি বলেন, আমি ক্যাফেতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে যাচ্ছিলাম, তখনই কাছাকাছি বিশাল এক বিস্ফোরণ ঘটে। আমি দৌড়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমার সহকর্মীরা ছিলেন, যাদের সঙ্গে আমি প্রতিদিন দেখা করি। দৃশ্যটা ছিল ভয়াবহ, চারদিকে মরদেহ, রক্ত আর্তনাদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ক্যাফে এলাকায় আঘাত হানে। ভিডিওতে বিস্ফোরণের পর চারদিকে ছড়িয়ে থাকা মরদেহের করুণ দৃশ্যও ধরা পড়েছে।
আল-বাকা ক্যাফেটেরিয়া গাজার উপকূলবর্তী একটি পরিচিত স্থান। এখানে নিয়মিতই সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীরা জড়ো হতেন। ইন্টারনেট সুবিধা ও কাজের পরিবেশ থাকায় এটি অনেকের পছন্দের জায়গা ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ হামলা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
এ হামলার আগে গাজা উপত্যকাজুড়ে রাতভর ইসরায়েল ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব হামলায় বহু ফিলিস্তিনি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরএইচ