ঢাকা, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুলাই ২০২৫, ২০ মহররম ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

অস্ত্র পাওয়া গেছে, এবার কি সেনা চাইবে ইউক্রেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:০১, জুলাই ১৫, ২০২৫
অস্ত্র পাওয়া গেছে, এবার কি সেনা চাইবে ইউক্রেন?

ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর কথা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপের ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো ওইসব অস্ত্রের দাম মেটাবে।

এদিকে মার্কিন অস্ত্রের নিশ্চয়তা পাওয়ামাত্রই ইউক্রেন নতুন আব্দার তুলতে চলেছে।

ইউক্রেনের আইনপ্রণেতা আনা স্কোরোখোদ বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে পশ্চিমা অস্ত্রের অভাবই তার দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নয়। এখন জনবলের তীব্র ঘাটতিকে যুদ্ধরত ইউক্রেনের বড় সংকট বলতে চান তিনি। একটি ইউক্রেনীয় রাজনৈতিক ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে স্কোরোখোদ জানতে চেয়েছেন, ইউক্রেনকে কেউ মানুষ দিচ্ছে না কেন?

ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি রাশিয়াকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। ৫০ দিনের মধ্যে কোনো শান্তি চুক্তি না হলে পুতিনের দেশের ওপর কড়া শুল্ক চাপাবেন বলে তিনি হুমকি দিয়েছেন। এতেও মন ভরছে না ইউক্রেনের। স্কোরোখোদ এসবকে ‘খেলা’ মনে করছেন। রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের আলটিমেটামকে রাজনৈতিক কৌশল বলে তিনি খারিজ করেছেন। তার যুক্তি, মূলশক্তিদের কেউই হারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও প্রকাশ্যে একবার রাশিয়ার সঙ্গে এই সংঘাতকে ‘ছায়াযুদ্ধ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। সেই কথা টেনে এমন মন্তব্য করেছেন স্কোরোখোদ।

ইউক্রেনের জনসংখ্যা কমে আসছে বলে স্কোরোখোদের আশঙ্কা। গত সপ্তাহে আরেকটি ভিডিওতে সরকারি হতাহতের পরিসংখ্যানকে বিভ্রান্তিকর বলে তিনি সমালোচনা করেছিলেন। নিখোঁজ ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সম্পর্কে জানতে কবরস্থান এবং রেড ক্রসের তথ্য পরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানান তিনি।

রাশিয়া বলে থাকে, পশ্চিমা দেশগুলো শেষ ইউক্রেনীয় মানুষটিকেও যুদ্ধে নামিয়ে ছাড়বে। ইউক্রেনের সেনা নিয়োগ কর্মকর্তারা রাস্তা থেকে বেওয়ারিশ কুকুর ধরার মতো করে ইউক্রেনীয়দের ধরে নিয়ে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়াচ্ছে, এমন খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে অনেকবার জানা গেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও কম সামরিক হতাহতের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তৃতীয় পক্ষের অনুমান ভিন্ন কথা বলছে। আর সেনা সংগ্রহে জোরাজুরি যেভাবে বাড়ছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইউক্রেনের হতাহতের প্রকৃত সংখ্যাটি অনেক বড়। একই সঙ্গে টানা শ্রমিক ঘাটতিতেও ভুগছে দেশটি। কারণ ২০২২ সালে সংঘাত বাড়ার পর পালিয়ে যাওয়া অনেক ইউক্রেনীয় দেশে ফিরতে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে যাওয়ার সময় ইউক্রেনের জনসংখ্যা ৫২ মিলিয়নেরও কম ছিল। ২০০১ সালে শেষ আদমশুমারির সময়, ওই সংখ্যা ছিল ৪৮.৫ মিলিয়ন। ২০২৪ সালের একটি সরকারি জনসংখ্যার প্রতিবেদনে কিয়েভশাসিত অঞ্চলগুলোতে জনসংখ্যা ৩১.১ মিলিয়ন বলে ধারণা করা হয়।

এমএইচডি/এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।