ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাসিন্দা আমির শেখকে বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করেছে বিএসএফ। বুধবার তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমবঙ্গের ‘পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ’।
আমির শেখকে দুমাসেরও বেশি সময় আগে রাজস্থান থেকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। তারপরে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। পরে বিজিবির হাতে আটক হয়ে তিনি জেলে ছিলেন বলে তার পরিবার জানায়।
পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের নেতা আসিফ ফারুক বলছেন, প্রথম মাসদুয়েক তার কোনো খবরই পরিবার পায়নি। একদিন হঠাৎ করেই ইমো কলে আমির শেখ জানায় যে রাজস্থান পুলিশ তাকে মারধর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টে তার পরিবার হিবিয়াস কর্পাস পিটিশন দাখিল করে। তারপরেই তাকে ফেরত আনা হলো বুধবার।
হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন হলো কোনো ব্যক্তির খোঁজ না পেলে তাকে সশরীরে আদালতে হাজির করানোর দাবি জানিয়ে আবেদন।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যন সামিরুল ইসলাম বলছেন, আমির শেখকে ফেরত আনা হলেও তাকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করছে বিএসএফ।
তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বিএসএফ দাবি করেছে যে আমির শেখ নাকি নিজেই ভুল করে বাংলাদেশে চলে যায়।
ওই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশ জানায়, বিএসএফের কাছ থেকে তারা আমির শেখকে হেফাজতে নিয়েছে।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ভুল করে বাংলাদেশে চলে গিয়েছিল এবং আবারও ভারতে ফেরার সময়ে বিএসএফ তাকে আটক করে এবং তার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র পায়নি।
একটি এফআইআর দায়ের করে আমির শেখকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে আদালতে আমির শেখকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
জেএইচ