ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ২০ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:০৬, আগস্ট ১৫, ২০২৫
পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা ইসরায়েলের

ইসরায়েলের কট্টর-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ দীর্ঘদিনের স্থগিত বসতি স্থাপনের একটি প্রকল্প শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।  

পশ্চিম তীরকে পূর্ব জেরুজালেম থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে- এমন প্রকল্পকে তার দপ্তর বলছে, এটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ধারণাকে সমাহিত করবে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, তাদের মিত্র ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন পরিকল্পনাটিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপ অঞ্চলটির শান্তি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করবে।

মা’আলে আদুমিমে পরিকল্পিত ই-ওয়ান বসতি প্রকল্পের স্থানে দাঁড়িয়ে স্মোটরিচ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্প নতুন করে চালুর বিষয়ে একমত হয়েছিলেন।  

স্মোটরিচের ভাষায়, যারা এখন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা আমাদের জবাব পাবে মাঠে—দলিল বা বিবৃতিতে নয়, বরং বাড়িঘর ও পাড়ার বাস্তব চিত্রে।  

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, স্থিতিশীল পশ্চিম তীর ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং শান্তি অর্জনের লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জাতিসংঘ ইসরায়েলকে পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে।

ইসরায়েল ২০১২ সালে ও ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক আপত্তির মুখে মা’আলে আদুমিম প্রকল্প স্থগিত করেছিল। এবার তা পুনরায় শুরু হলে ইসরায়েল আরও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়তে পারে।

স্মোটরিচের দপ্তর জানিয়েছে, পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরের বিদ্যমান একটি বসতি ও জেরুজালেমের মধ্যে ৩ হাজার ৪০১টি বাড়ি নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে জমি দখল আখ্যা দিয়ে বলছে, এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে আরও খণ্ডিত করবে এবং দখলদারত্বকে স্থায়ী করবে।

ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড এরইমধ্যে এ ধরনের বসতি পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, রাজনৈতিক চুক্তি ছাড়া কোনো ভূখণ্ড দখল আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।

পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় সাত লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বাস করছে, যাদের মধ্যে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দ্বৈত নাগরিক।  

বিশ্ব মোড়লদের অনেকে মনে করে, বসতি সম্প্রসারণ দুই রাষ্ট্র সমাধানের পথ রুদ্ধ করছে, যেখানে পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর ও গাজায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে।

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।