পাকিস্তানে পৃথক তিনটি সন্ত্রাসী হামলায় সেনাসদস্যসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে বেলুচিস্তান প্রদেশে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেলুচিস্তানের দুই কর্মকর্তা জানান, প্রদেশটির রাজধানী কোয়েটার একটি স্টেডিয়ামে বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) সমাবেশ চলছিল। এ সময় পার্কিং লটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন নিহত এবং অনেকে আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে অন্তত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, বিএনপি প্রধান আখতার মেঙ্গাল সমাবেশে বক্তব্য শেষ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিরাপদে আছেন বলে নিশ্চিত করেন।
এদিকে বেলুচিস্তানেই আরেকটি হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। ইরান সীমান্তবর্তী একটি জেলায় বাড়িতে তৈরি বোমা বিস্ফোরণে তারা প্রাণ হারান। এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নুতে একটি আধাসামরিক বাহিনীর সদর দপ্তরে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবারের ওই হামলায় ছয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তা জানান, সেনা ক্যাম্পের গেটে বিস্ফোরক ভর্তি একটি গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলাকারী প্রবেশ করে। এরপর আরও পাঁচজন হামলাকারী ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে টানা ১২ ঘণ্টা গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। শেষ পর্যন্ত ছয় হামলাকারী নিহত হয়।
জঙ্গি গোষ্ঠী ইত্তেহাদ-উল-মুজাহিদিন পাকিস্তান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বেলুচিস্তান ছাড়াও খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালে ৩৮৩ সেনা ও ৯২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
এসআইএস