গাজা সিটিতে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে ফিলিস্তিনি নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইসরায়েলি সেনাদের বোমা হামলায় নতুন করে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানায়, গাজার সমুদ্র অবরোধ ভাঙতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলি ড্রোনের তৎপরতা, বিস্ফোরণ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার ঘটনা বেড়েছে। খবর আল জাজিরার।
অবরুদ্ধ গাজা সিটিকে দখলে নিতে চলমান অভিযানে হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। ২০২৩ সালের সাত অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৩৮২ জন নিহত এবং এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৫ জন আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজারো মরদেহ চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সময়ে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে এক হাজার ১৩৯ জন এবং প্রায় দুশো জনকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পশ্চিম তীরে সহিংসতা থামাতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান
এদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় ফিলিস্তিনিদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী ডায়ানা বুত্তু।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সরকার অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সমর্থন দিচ্ছে এবং তাদের থামাতে কিছুই করছে না। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ বসতি স্থাপনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে ইসরায়েল। বসতি স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার দিন থেকেই দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মৃত্যু ঘটেছে। তবে, কিছু দেশ সম্প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র সরবরাহের নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা উচিত।
এমজেএফ