ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আক্রমণের রহস্য কি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০
আক্রমণের রহস্য কি?

পিয়ংইয়ং: উত্তর কোরিয়া প্রথম কামানের গোলা নিক্ষেপ করে দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বীপে। পরে পাল্টা হামলা চালায় দক্ষিণ কোরিয়া।

মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় দুই নৌসেনা ও দু’জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে হামলার ঘটনা কেন ঘটলো।  

যদিও এ আক্রমণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেছে উত্তর কোরিয়ার। বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার এহামলা উসকানিমূলক এবং পরিকল্পিত।

নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা: দণি কোরিয়ার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক রাষ্ট্রদূত নাম জো-হোং বলেন, ‘এ ধরনের আচরণের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া মূলত এর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা জোরদারের চেষ্টা করছে। ’

উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতা রদবদলের প্রেক্ষাপটে দেশটির বর্তমান নেতা কিম জং ইলের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী ছেলে জং উন ইলের ইমেজ শক্তিশালী করার জন্যই দেশটি পরমাণু স্থাপনা প্রদর্শন ও সেনা মহড়া শুরু করে বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।  

আভ্যন্তরীণ কোন্দল: এক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার কঠোরপন্থী ও মধ্যমপন্থীদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব আরেকটি কারণ হতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। কোরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর কোরিয়া স্ট্যাডি বিষয়ক অধ্যাপক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ধার্য করা আন্তঃকোরীয় রেডক্রস বিষয়ক আলোচনার ঠিক আগ মুহূর্তে অপ্রত্যাশিত এ ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে বাজপাখি ও ঘুঘুর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বর সম্ভাবনা আছে। ’

একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা ও প্রক্রিয়া নিয়ে উত্তর কোরিয়ার উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে বলে স্বীকার করেন দেশটির এক জ্যেষ্ঠ দেশত্যাগী নেতা।     

শান্তি চুক্তি: উত্তর কোরিয়া শান্তি চুক্তি বিষয়ে আলোচনার উপায় খুঁজছে বলে অনেকে মনে করতে পারেন। কিন্তু সিজং ইন্সন্টিটিউটের প্রধান সং দায়ে-সাং বলেন, ‘মূলত পশ্চিম সাগরকে বিরাধপূর্ণ এলাকায় পরিণত করার এবং আলোচনার টেবিলে ওয়াশিংটনের কাছে শান্তি চুক্তি দাবি করার এটি উত্তর কোরিয়ার একটি কৌশল। ’

অন্যভাবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক পরিত্যাগের উদ্দেশ্যে উত্তর কোরিয়া এ কৌশল নেয়।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন: উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব প্রতিষ্ঠানের এক গবেষক বলেন, ‘সংকটপূর্ণ পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় লি মিয়াং-বাকের প্রশাসনের বিরুদ্ধে হতাশা তৈরি উত্তর কোরিয়ার এটি একটি নীতি। ’   

দণি কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়া মূলত আন্তঃকোরীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের প্রতি সমর্থনকে দুর্বল করে উত্তরের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ’

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।