সিউল: হামলার নতুন কৌশলপত্র তৈরি করছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কৌশলপত্র করা হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার সেনা সূত্রে জানা যায়।
উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার পশ্চিম সাগরের সীমান্তবর্তী ইয়োনপইয়ং দ্বীপে হামলা করে। এতে দু’জন নৌসেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ মোট চারজন নিহত ও কমপে ১৮ জন আহত হন।
১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত সংঘটিত কোরীয় যুদ্ধের পর এটাই দেশটিতে কোনো বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা।
এদিকে উত্তরের হামলায় দক্ষিণ কোরিয়া কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনরোষ বেড়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, ‘বর্তমানে বিদ্যমান আইনটি শুধু সীমান্তে দুই কোরীয়ার বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ প্রতিরোধের জন্য উপযোগী। দক্ষিণ কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণের শিকার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় দায়িত্ব সম্পর্কে এতে কিছু বলা নেই। ’
সূত্র আরও জানায়, ‘নতুন আইনানুযায়ী বেসামরিক নাগরিকদের উপর উত্তর কোরিয়ার আক্রমণের জবাব তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়ার এবং উত্তর কোরিয়া যে অস্ত্রের সাহায্যে হামলা করেছে, একই অস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়াং-বাক পীত সাগরের সীমান্তবর্তী দ্বীপে সেনা শক্তি বাড়ানো ও তাদের ভূমিকা শক্তিশালী করার নির্দেশ দেন।
এদিকে নতুন যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। একইসঙ্গে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে খুব শিগগিরই মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (চিসিএস) জানান।
তবে কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এরইমধ্যে প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ সেনা নিয়োজিত আছেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১০