সিউল: যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌমহড়া দ্বীপপুঞ্জটিকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ সতর্কবার্তা জারি করে।
কঠোর কমিউনিস্ট রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে গুলি করে ও রকেট হামলা চালায়। এতে চরজন নিহত হন। পরবর্তীতে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা মহড়ার জবাবে এ হামলা চালানো হয় বলে দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার হামলার জবাবে রোববার থেকে পীত সাগরের যৌথ নৌ মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া। এ উদ্দেশ্যে মার্কিন যুদ্ধ বিমান বহনকারী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন নামের জাহাজটি শুক্রবার কোরীয় দ্বীপপুঞ্জ অভিমুখে যাত্রা করেছে।
তবে উত্তর কোরিয়ার মঙ্গলবারের হামলার আগেই এ মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো বলে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে জানানো হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার দৃঢ় সম্পর্কের উপর জোর দেওয়া এর প্রধান উদ্দেশ্য বলেও জানা যায়।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএন) শুক্রবারের একটি নিবন্ধে একে পরিকল্পিত যুদ্ধ মহড়া বলে উল্লেখ করে। একইসঙ্গে মার্কিন কূটনীতিক ও দক্ষিণ কোরিয়ার পুতুল সরকারের সমালোচনা করাসহ
এ মহড়াকে ‘সামরিক শক্তির আক্রমণাত্মক প্রদর্শনী’ বলে উল্লেখ করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ‘কোরীয় দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি ক্রমেই যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। আর মূলত দ্য ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার (ডিপিআারকে) বিরুদ্ধে যুদ্ধ মহড়া শুরুর পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই তা শুরু হতে যাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০