মুম্বাই: ভারত মুম্বাই হামলার দ্বিবার্ষিকী পালন করছে। শুক্রবার বিভিন্ন স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে হামলায় নিহত ১৬৬ জনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
শুক্রবার দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী সারা শহর জুড়ে কুচকাওয়াজ করে। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত ব্যক্তিরা হোটেল, রেলওয়ে স্টেশন, ক্যাফে এবং ইহুদি কেন্দ্রে জড়ো হন। এসব জায়গাতেই ২০০৮ সালে বন্দুকধারী হামলা চালিয়েছিলো।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘শত্রুর বিরুদ্ধে আমরা কখনোই পরাজয় মেনে নেবোনা।
মানবাধিকার বিরুদ্ধে সংঘটিত এ অপরাধের হত্যকারীদের খুঁজে বের করতে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ’
দ্বিবার্ষিকী উপলক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বারাম মুম্বাইয়ের একটি স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। একইসময়ে পুলিশ কাবে শহীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অন্যান্য জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকরা।
এছাড়াও দক্ষিণ মুম্বাইয়ের চাওপাতি সমুদ্র সৈকতে কন্সট্যাবল তুকারাম ওম্বালের স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন করবেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এখানে কাসাবকে মোকাবেলার সময় নিহত হন ওম্বাল। একইসঙ্গে বিকেলে ভারতীয় স্মৃতিসৌধের প্রবেশপথে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে রাতব্যাপী মোমবাতি জ্বেলে প্রার্থনা করা হয়।
এদিকে বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে আরও সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর হামলাকারীরা নৌপথে শহরটিতে আসে এবং ২৮ নভেম্বর হামলা চালায়। এ হামলায় একইসঙ্গে আরও প্রায় ৩০০ জনগণ আহত হন।
দশজনের মধ্যে নয় হামলাকারীকেই সেসময় হত্যা করে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। বেঁচে যাওয়া একমাত্র হামলাকারী মোহাম্মদ আজমল কাসাবকে মে মাসে মুম্বাইয়ের আদালত মৃত্যুদণ্ড দেয়। তবে তিনি এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করেছেন।
এ হামলার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি দল লস্কর-ই-ত্যায়িবাকে দায়ী করে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন।
একইসঙ্গে হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ইসলামাবাদ পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না বলে ভারত অভিযোগ করে। হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দায়-দায়িত্ব পূরণের আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে সরকারি কূটনীতিক বার্তা পাঠায় ভারত।
এ বার্তায় হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ৭ জনের বিচার কাজ স্থগিত করার অভিযোগ করা হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাদের আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় দুঃখও প্রকাশ করা হয় বার্তাটিতে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩১১ ঘন্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১০