ঢাকা: কোপেনহেগেন সম্মেলনে গৃহীত অঙ্গীকারনামায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় দরিদ্র দেশগুলোকে ধনী দেশগুলো বার্ষিক ১০ বিলিয়ন করে ৩০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার দ্রুত বিলি-বণ্টন চায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর কার্বণ নিঃসরণ কমাতে কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে কানকুন জলবায়ু সম্মেলনে শক্ত অবস্থান নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেক্সিকোর কানকুনে শুরু হওয়া জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান ও সম্মেলনে বাংলাদেশের চাহিদার কথা জানাতে গিয়ে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বৃদ্ধি করে উন্নত দেশগুলোর কার্বণ নিঃসরণ কমাতে কানকুনে বাংলাদেশের জোরালো অবস্থান থাকবে। পাশাপাশি অধিক পরিমাণ কার্বণ নিঃসরণকারী উন্নয়শীল দেশগুলো যাতে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমায় সে ব্যাপারে একটি আইনগত বাধ্যবাধকতা চুক্তিও আশা করে বাংলাদেশ। ’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সংক্রান্ত তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব ব্যাংক এবং বিশ্ব জলবায়ু তহবিলের একক কর্তৃত্বের পরিবর্তে সকল দেশের সমান প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নতুন তহবিল ব্যবস্থাপনা তৈরী করতে হবে। সেই সঙ্গে কোপেনহেগেন একর্ড অনুযায়ী গ্রীন ফান্ড গঠন, ২০১২ সালের মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলার ও ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিশ্ব তহবিল গঠন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে তা দ্রুত বিলি বণ্টন করতে হবে। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অভিযোজন ও কার্বন নিঃসরণের নতুন প্রযুক্তি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং মেধাস্বত্ব আইন ছাড়াই প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে। এছাড়া কানকুনে আরও যেসব বিষয়ে বাংলাদেশ সোচ্চার ভূমিকা রাখবে সেগুলো হলো- ২০২০ সালের মধ্যে উন্নত দেশগুলোর গ্রীন হাউস গ্যাস নি:সরণ ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কমানো ও একই তুলনায় ২০৫০ সালের মধ্যে তা ৯০-৯৫ শতাংশ কমানো, বিশ্বের তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লবের সময় থেকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা এবং ২১০০ সাল পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে গ্রীন হাউজ গ্যাসের ঘনত্ব ৩৫০ পিপিএম-এ সীমিত রাখা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১০