ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কোপ-১৬ থেকেও বেশি আশা করা যাচ্ছে না

সাইদ আরমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১০
কোপ-১৬ থেকেও বেশি আশা করা যাচ্ছে না

ঢাকা: কোপেনহেগেনে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৫তম জলবায়ু সম্মেলন (কোপ-১৫)  শুধু অঙ্গীকারের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছিল। ওই সম্মেলনে অঙ্গীকারনামায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো সম্মতি দিলেও তা বাস্তবায়নের কৌশল কি হবে, কিভাবে হবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোপ-১৫ থেকে বিশ্ব কিছু পায়নি। ওই সম্মেলনকে ভিত্তি ধরে আয়োজিত এবারের সম্মেলন (কোপ ১৬) থেকেও বেশি কিছু আশা করা যাচ্ছে না।    

পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আতিক রহমান বাংলানিউজকে জানান, কোপ ১৫ থেকে আসলে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এর মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের একটি আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘কোপ-১৫ কে ভিত্তি ধরে কোপ-১৬ থেকে বেশ কিছু ভালো অগ্রগতি হতে পারে। তবে খুব বেশি আশা করা যাচ্ছে না। ’  

ড. আতিক রহমান আরও বলেন, ‘ওই সম্মেলনে সমঝোতার বিষয়গুলো এবারও হয়তো প্রধান্য পাবে। ’

সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ মির্জা আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কোপ-১৫তে ক্ষতিগ্রস্তদেশগুলোকে ক্ষতিপূরণের  বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। কিন্তু দায়ী দেশগুলোর অনাগ্রহের কারণে খুব বেশি লাভ হয়নি।

কোপ-১৬ থেকেও অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে খুব আশা করতে পারছেন না সাবেক এই উপদেষ্টা।     

ফিরে দেখা কোপ-১৫: ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর শুরু হয়ে এই সম্মেলন চলে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওই সম্মেলনে ১৯৩টি দেশ অংশ নেয়।

কোপ-১৫ এর অঙ্গীকারনামায় জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে, ক্ষতিগ্রস্তদেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিতে তহবিল গঠনের ব্যাপারে ও তাদের কারিগরি সহায়তা সংক্রান্ত ১২টি বিষয় চুড়ান্ত হয়েছিল। তবে কৌশল ঠিক করা যায়নি।  

১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বেলা সেন্টারে কোপেনহেগেন অঙ্গিকারনামা (কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড) উপস্থাপন করেন।

তবে অঙ্গীকারনামায় স্বীকৃতি দেয় অংশগ্রহণকারী ১৮৯টি দেশ। এসব দেশ অঙ্গীকারনামায় স্বীকৃতি দিয়ে এটিকে নোট হিসেবে গ্রহণ করে।

বাংলাদেশও স্বীকৃতি দেয় কোপ-১৫ এর অঙ্গীকারনামায়।

তবে চারটি দেশ ওই অঙ্গীকারনামাকে স্বীকৃতি দেয়নি।   দেশগুলো হলো-সুদান, বলিভিয়া, ব্রাজিল ও কিউবা। এই চার দেশ অনুমোদন না দেওয়ায় সম্মেলনের অঙ্গীকারনামা চুক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়নি।

বিধি অনুযায়ী অংশগ্রহণকারী সবদেশ স্বীকৃতি দিলে তা আইনগত বাধ্যবাধকতা হিসেবে স্বীকৃতি পেতো।

জাতিসংঘ বলেছিল, এটি একটি রাজনৈতিক সমঝোতা। চুক্তিকে আইনগত বাধ্যবাধকতায় আনতে হবে। জলবায়ু তহবিল গঠন করতে হবে। আগামী এক বছর তারা চেষ্টা করবে অন্যদেশগুলোকে রাজি করাতে।

জাতিসংঘ আশা করে, এবারের কানকুন সম্মেলনে কোপ-১৫ চুড়ান্ত রূপ নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।