ঢাকা: ব্রিটেনে বিশ্বখ্যাত কেনটাকি ফ্রায়েড চিকেনের (কেএফসি) বেশ কয়েকটা খাবারে রাসায়নিক পদার্থ ‘অ্যাক্রিলামাইড’ পাওয়া গেছে। আর এই ‘অ্যাক্রিলামাইড’ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বলে বিশেজ্ঞরা বলছেন।
সম্প্রতি ব্রিটেনের ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির (এফএসএ) সর্বশেষ অষ্টম জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেএফসির ১৪ ধরনের খাবারে অতিরিক্ত ‘অ্যাক্রিলামাইড’ পাওয়া গেছে বলে জানায় ব্রিটেনের খাদ্য পরিদর্শকরা।
উচ্চ তাপমাত্রায় খাবার তৈরির সময় এই কেমিক্যাল মিশিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘসময় কেএফসি গ্রহণ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়।
খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফএসএ, ঝুঁকির মাত্রা নিরূপণে কেএফসির ৩০০টির বেশি খাবারের পরীক্ষা চালিয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে কেএফসির চিপসের মধ্যে। এছাড়া কিছু দামি খাবারেও যেমন, বার্টস সি সল্টেড ক্রিপসেও একই ঝুঁকি। এমনকি কেএফসির সাধারণ ফ্রাই গ্রহণেও এই ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে।
এছাড়া টেসকো’র রেডি সল্টেড ক্রিপস, টায়টা চিজ, ওনিয়ন ক্রিপস, সিব্রুক সি সল্টেড ক্রিপস, পিপারস অ্যাঞ্জেলসি, কো-অপসের সি সল্ট এবং কারদোনি ক্রিপসেও ‘অ্যাক্রিলামাইড’ পাওয়া গেছে।
এছাড়া কেএফসি উচ্চ তাপমাত্রায় সকালের যে খাবারটি তৈরি করে থাকে তার মধ্যেও অধিক ‘অ্যাক্রিলামাইড’ পাওয়া গেছে।
প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কেমিক্যাল পাওয়া গেছে ফক্সের জিঞ্জার বিস্কুট এবং টিইউসির বিস্কুটে।
পরিদর্শকরা বলছেন, উপরোক্ত খাদ্য এখনই ত্যাগ করার প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘদিন এই খাবার গ্রহণের ফলে বিপদ হতে পারে।
পরীক্ষকদলের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ‘অ্যাক্রিলামাইড’ হ্রাসে কাজ করে যাবো। ”
জরিপে আরো দেখা গেছে, ক্যান্সারের জন্য ‘ফুরান’ নামের খাদ্যের আরেকটি উপাদান দায়ী। ব্রিটেনের ফুড স্টান্ডার্ড এজেন্সি তাদের সর্বশেষ জরিপে এই বিষয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। তবে কোন খাবারেই এই কেমিক্যাল নিরাপদ মাত্রা ছাড়ায়নি। তবে রোস্ট কফি ও পপকর্নের মধ্যে উচ্চমাতায় এই কেমিক্যাল পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে কেএফসি বলে, “আমরা আমাদের সব শাখায় ‘অ্যাক্রিলামাইড’র আরো কম মাত্রায় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। ”
কোম্পানিটি জানায়, এই জরিপের ফলাফল ভুয়া। কারণ অন্যান্য পরীক্ষায় আমাদের খাবারে এমন কিছু ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: কবির হোসেন ও এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর/আরআর