ঢাকা: বোস্টনের নিহত হওয়া সন্দেহভাজন হামলাকারীর সর্বাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক জানান, যখন তামেরলান সারনায়েভকে হাসপাতালে আনা হয় তখন তার সর্বাঙ্গে ক্ষত ছিল।
ড. ডেভিড শোয়েনফেল্ড জানান, শুক্রবার তামেরলান সারনায়েভকে যখন বেথ ইজরায়েল ডিকোনেস মেডিক্যাল সেন্টারে আনা হয় তখন সে সংজ্ঞাহীন ছিল। তার সমস্ত শরীর জুড়ে গভীর ক্ষত ছিল। তবে কোনো আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
একজন মেডিক্যাল পরীক্ষকের মাধ্যমে তামেরলানের মৃত্যুর মূল কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
শোয়েনফেল্ড ওয়াটারটাউনের বোস্টন শহরতলীতেই থাকেন। গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েই তিনি হাসপাতালে ফোন করে সম্ভাব্য আহতদের জন্য কর্মচারিদের সতর্ক থাকতে বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা তখনই বিভিন্ন কক্ষে তিন কি চারটি ট্রমা দলকে সতর্ক অবস্থানে রাখি। আমরা জানতাম না আমরা কাকে চিকিৎসা দিতে যাচ্ছি-সে হতে পারে হামলাকারীদের কেউ অথবা আহত পুলিশ কিংবা কোনো পথচারী। ”
তিনি আরও বলেন, “তাকে আনার পর তার পরিধেয় জামা কেটে দেখা হয়েছিল কোনো রকম আত্মঘাতী বিস্ফোরক তার সঙ্গে ছিল কিনা। তবে এমন কিছুই তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। ”
প্রায় ১৫ মিনিটের অসফল চিকিৎসার পর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তামেরলানকে মৃত ঘোষণা করে। সম্ভাব্য সকল পন্থা অবলম্বন করেও তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
হামলার সন্দেহভাজনের চিকিৎসার সময় চিকিতসকদের আচরন কেমন ছিল জানতে চাইলে শোয়েনফেল্ড বলেন, “জরুরি কক্ষে আহতের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তা দ্রুত শেষ করে দেয়া হয়। সে কে ছিল তা খুব একটা ব্যাপার না-আমরা আমাদের সর্বোত্তম পন্থায় তার চিকিৎসা করেছি। ”
হামলার দ্বিতীয় সন্দেহভাজন অর্থাৎ তামেরলানের ছোট ভাই জোখারকেও একই হাসপাতালে আনা হয়। তবে এফবিআই হাসপাতালকে তার ক্ষত কিংবা অবস্থা সম্পর্কে কোনো কিছু জানানো থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
বাংলাদেশ ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১,২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com