ঢাকা: ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির নারী শিক্ষা আন্দোলনকর্মী মালালা ইউসুফজাই। এক খোলা চিঠিতে এ আহ্বান জানায় মালালা।
চিঠির শুরুতে মালালা লিখেছেন, “আমার দেশের ভাই-বোনদের সঙ্গে কিছু শব্দ শেয়ার করাকে আমি সম্মানের মনে করছি। আমাদের দেশে যদি শিক্ষা, বিদ্যুৎ আর গ্যাস চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। চলুন আমাদের দেশের জন্য ভোট দেই। ”
ভোটারদের নিজেদের অধিকারের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মালালা লিখেছে, “আমরা কখনও ভাবি না, আমাদের ভোট কত শক্তিশালী। একটি ভোট আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমাদের ভোটই নির্ধারণ করবে যেসব রাজনীতিবিদদের যারা আমাদের মাতৃভূমিকে পরিচালিত করবে। ”
মাথায় তালেবান জঙ্গির গুলি লেগেও প্রাণে বেঁচে যাওয়া মালালা আরও লিখেছে, “আমি আমার সকল মা-বোনকে আবেদন জানাচ্ছি এগিয়ে যেতে, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে। এটা আমাদের অধিকার। একদিন পরিবর্তন আসবে। সব ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাবে এবং সবখানে শান্তি বিরাজ করবে। ”
সবার মঙ্গল কামনা করে চিঠিটি শেষ করেছে ১৭ বছর বয়সী মালালা। ২০০৯ সালে বিবিসির উর্দু শাখায় একটি ব্লগ লিখেন মালালা। ওই ব্লগে তুলে ধরা হয়, তার মাতৃস্থান খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের সোয়াত জেলার নারীদের শিক্ষার চিত্র। সেখানে তালেবান শাসনে নিজের আটকাবস্থার জীবন ও তাদের সোয়াত উপত্যাকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে তার লেখায়। ছদ্মনামে লেখা ওই ব্লগে নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরে। এ ব্লগ লেখার জন্য তালেবানের হামলার শিকার হয় মালালা।
২০১২ সালের ৯ নভেম্বর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তালেবান জঙ্গিরা তার মাথায় গুলি করে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় সে। প্রথমে পাকিস্তান ও পরে যুক্তরাজ্যে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নারী শিক্ষা আন্দোলনের জন্য ২০১৩ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে সে। পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় যুব শান্তি পুরস্কার পেয়েছে মালালা। এখন যুক্তরাজ্যের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে সে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com