কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মামলায় ভালোই বিপাকে পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হাসি ফুটেছে নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের মুখে।
তবে দু’দলেরই বক্তব্য, যথা সময়ে পঞ্চায়েত ভোট না হলে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ থমকে যাবে। কিন্তু ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস কিছুতেই পঞ্চায়েত ভোটের মুখোমুখি হতে চাইছে না।
বিশেষত, এখন সারদা-কাণ্ডের পরে রাজ্য সরকার সিঙ্গল থেকে ডিভিশন বেঞ্চ, সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্ট- এভাবে আরও কালক্ষেপণ করতে চাইবে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেবের অভিযোগ, ফল খারাপের ভয়ে লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে চান না মমতা। আর রেল প্রতিমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘রাজ্য সরকার বলছে ডিভিশন বেঞ্চে যাবে। এখন এক কান কাটা গিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চে হেরে দু’কান কাটা যাবে!’
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। সোমবারই স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারা।
শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায় জানার কিছুক্ষণের মধ্যেই মহাকরণে রাজ্যের আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনের বিষয়টি ঘোষণা করেন সুব্রতবাবু।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, “এই রায় অবাস্তব। পদ্ধতিগত দিকে থেকে এটা রূপায়ণ করা বা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যে সময় মতো পঞ্চায়েত নির্বাচন যারা চায় না, এ রায় তাদের অভিসন্ধিই পূরণ করবে। “
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৩
ভাস্কর/সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস ও আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর