ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন শেষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩৩, মে ১১, ২০১৩
পাকিস্তানে সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন শেষ

ঢাকা: সহিংসতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের ১৪তম সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে করাচির ৬ টি আসনে ভোট গ্রহণে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ৬টার দিকে শেষ হয়। বিকেল ৫টার মধ্যে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ লাইন থাকায় দেশজুড়ে ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়। করাচির আসনগুলোতে স্থানীয় সময় রাত ৮ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলার কথা।

বোমা হামলাসহ বিভিন্নস্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে জালিয়াতি আর কারচুপির অভিযোগ তুলেছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।

দেশের ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মূল দলগুলো হলো পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি), মুত্তাহিদ মজলিস-ই-আলাম (এমএমএ) ও জামায়াতে ইসলামি।

বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ভোট কারচুপি, জালিয়াতের অভিযোগ তুলেছে।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তারা করাচি ও হায়দ্রাবাদ থেকে অভিযোগ পেয়েছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ফলাফল বাতিল করা হবে।

করাচির ২৫০ নং আসনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি বলে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্য ডন শনিবার ৫টা ২৫ মিনিটে জানায়। করাচি নিয়ে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন।

করাচি ও হায়দ্রাবাদে নির্বাচন বয়কট করেছে জামায়াতে-ইসলামি। তাদের অভিযোগ মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের (এমকিউএম) কর্মীরা ভোটার দেয় হুমকি দিয়েছে।

তাৎক্ষিণ প্রেস কনফারেন্স ডেকে করাচি ও হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন আসনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় দলটির প্রধান সৈয়দ মনোয়ার হাসান। তিনি অভিযোগ করেছেন, এমকিউএম সরাসরি সহিংসতা আর জাল ভোট দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, “এমনকি হায়দ্রাবাদে আমাদে কর্মীদের ওপর অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে এবং দু’টি আসনের ভোট কেন্দ্রকে বের করে দিয়েছে। ”

এদিকে এমকিউএমের এক নেতা দাবি করেছে, তার দলের পক্ষের ভোট হাইজ্যাক করা হয়েছে। করাচির লিয়ারি শহরের তিনটি আসনে নির্বাচন বর্জন করে এমকিউএম।

এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে করাচিতে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন করতে নিজের ব্যর্থতার স্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন।

কোয়েটা, চারসাদ্দা ও চামান শহরের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। করাচিতে সকালের দিকে জোড়া বোমা হামলায় ১৩ জন নিহত ও অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছে।

শনিবার দুপুরের দিকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রত্যাশা, প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়ছে।   পাকিস্তান সময় সাড়ে ৩ টার দিকে  নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র খুরশিদ আলম জানান, “ভোট পড়ার বিষয়টি আসলে উৎসাহজনক। আমরা আশা করছি দিনের শেষে ভোট ৬০ শতাংশের কাছাকাছি হবে। ”
২০০৮ সালের নির্বাচনে মাত্র ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।

কোনো দল বা জোটকে এককভাবে ক্ষমতায় যেতে হলে ৩৪২ আসন বিশিষ্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি অব পাকিস্তানের কমপক্ষে  ১৭২টি আসন পেতে হবে। আর ১৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হলে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হবে।

পাকিস্তানের ঝুলন্ত পার্লামেন্ট হচ্ছে কোনো দল বা জোট এককভাবে ১৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হলে দুই দল মিলে যে সরকার গঠিত হয়। ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি দেখছেন বিশ্লেষকরা।

৩৪২টি আসনের মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের জন্য এবং ১০টি আসন সংখ্যালঘু অমুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ২৭২ জন সদস্যকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।