ঢাকা, শনিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫০, মে ১৩, ২০১৩
পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা মোকাবেলায় বেশি করে পোকামাকড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘ। এ সংঘের  ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (এফএও) প্রতিবেদনে বিশ্ববাসীর প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।



এফএওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পোকামাকড় খেলে পুষ্টির সঙ্গে খাদ্য দূষণও কমবে। এ ছাড়াও বোলতা, গোবর পোকা ও অন্য সব কীটপতঙ্গ মানুষ ও গবাদিপশুর জন্য খাদ্য হিসেবে ‘ব্যবহারে আওতাধীন’ আছে। খাদ্য ও খাওয়ানোর নিরাপত্তার অনেকগুলো পন্থার একটি হচ্ছে পোকামাকড়ের চাষ।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পোকামাকড় পুষ্টিকর কারণে এতে বেশি মাত্রায় আমিষ, চর্বি ও খনিজ পর্দাথ আছে। যেসব শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে তাদের জন্য খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে পোকামাকড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, পোকামাকড় সব খানে পাওয়া যায়। তাদের উৎপাদনও হয় দ্রুত। তারা দ্রুত বেড়ে ওঠে। পোকামাকড় উৎপাদন খুবই সাশ্রয়ী। খুব দ্রুত তাদের খাওয়ার উপযোগী করে তোলা যায়। insect

উদাহরণ হিসেবে ঝিঁঝিঁ পোকার কথা বলা যায়। একটি গবাদি পশুর চেয়ে ১২ গুণ কম খাওয়ানোর পরও গবাদি পশুর সমান আমিষ পাওয়া যায় ঝিঁঝি পোকায়।

শুধু তাই নয়, অন্য সব গবাদি পশুর থেকে অধিকাংশ পোকামাকড়ই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদন করে না। শূকরের মতো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস উৎপাদনকারী পোকামাকড়ের সংখ্যা খুবই নগণ্য বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।

বিশ্বের অনেক মানুষই নিয়মিত পোকামাকড় খায়। কিন্তু এটি পশ্চিমাদের কাছে অত্যন্ত বাজে মনে হয়।

এএফও জানায়, বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষ তাদের খাদ্য তালিকায় পোকামাকড়কে স্থান দিয়েছে। তবে অনেক পশ্চিমা দেশগুলোতে পোকামাকড় খাওয়ায় লোকদের অনীহা আছে। আর এ অনীহাই খাদ্য তালিকায় পোকামাকড়কে স্থান দেওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা।

প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয় রান্নার নতুন রেসিপিতে পোকামাকড় অন্তর্ভূক্ত করে খাদ্য শিল্প ‘পোকামাকড়ের মর্যাদা’ বাড়াতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু পোকামাকড় সুস্বাদ হিসেবে বিবেচিত হয়। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে গুটিপোকা বিলাসবহুল আর দামেও চড়া।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর/ সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।