নয়াদিল্লি: তিন দিনের সফরে রোববার ভারতে পৌঁছেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই লি’র প্রথম বিদেশ সফর।
লাদাখ সীমান্তে কেন চীনা সেনা ঢুকেছিল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমন খুরশিদের সফরে তার সদুত্তর মেলেনি। কূটনৈতিক মহলের মতে, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে সীমান্ত সমস্যা তৈরি করে ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছিল চীন। এবারও দিল্লি আসার আগে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে আবারও সেই পথেই হাঁটল বেইজিং।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, ভারতে পা রেখেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। রাতে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দেবেন। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও। দুই শীর্ষ নেতার গুরুত্বপূর্ণ দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক সোমবার।
ওই বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা থেকে দু’দেশের বাণিজ্য, সমস্ত বিষয়ে বিশদ আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আলোচনায় সীমান্ত সমস্যা যে বিশেষ গুরুত্ব পেতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত মিলেছে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গত ৪ মে এ বিষয়ে ১৬ টি চুক্তির খসড়া দিল্লিকে পাঠিয়েছে বেইজিং। খসড়ার কয়েকটি বিষয়ে দিল্লির আপত্তি থাকায় সম্ভবত লি’র এই সফরে চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। লাদাখে যে ঘটনা ঘটেছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় সে দিকটাও পরিষ্কার করে নিতে সচেষ্ট থাকবে দিল্লি।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৪৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৩
সম্পাদনা: বেনু সূত্রধর, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- eic@banglanews24.com