ঢাকা: মুসলিম সমাজে ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) কিংবা অনলাইনে বিয়ে নতুন কিছু নয়। দিনে দিনে এভাবে নতুন বন্ধন তৈরির ঘটনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভারতের হায়দারাবাদে ২৩ বছর বয়সের মেহেরুন্নেসা (ছদ্মনাম) যখন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী স্বামীর কাছ থেকে এসএমএসের মাধ্যমে তালাক পান তখন তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হন।
হায়দারাবাদ সাউথ জোনের নারী পুলিশ থানার (ডব্লিউপিএস) পরিদর্শক এন শ্রেয়া জানান, মেহেরুন্নেসার স্বামী একজন বেসরকারি কর্মচারী। বছরখানেক আগে তিনি আমিরাতে যান। মেহেরুন্নেসাকে এসএমএসে তালাক লিখে পাঠিয়েছেন। তিনি ন্যায় বিচারের দাবিতে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন।
অন্যদিকে, এমনি একটি ঘটনার বিবৃতিতে দক্ষিণ জোন পুলিশের উপকমিশনার তরুণ জোশী জানান, কেন্দ্রে তার তার বদলির সময় হেমায়েতনগরের একজন গৃহিণী স্কাইপিতে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে তালাক দেওয়ায় তার টেকি (প্রযুক্তিতে চটপটে) স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন বলে জানা গেছে।
ওই গৃহিণীর সময় বর্ণনা অনুসারে স্বামীর বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনে অধীনে ৪৯৮-ক ধারায় পারিবারিক নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়।
সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এরূপ পদ্ধতি অবলম্বন করা হলেও পূর্বে প্রবাসীরা তালাকের জন্য তাদের স্ত্রীদের কাছে দেন-মোহরের বর্ণনাসহ তালাকের জন্য প্রদত্ত কাগজপত্র পাঠিয়ে যথাযথ নিয়ম অনুসারে তালাক দিতেন। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নে মুসলিম পুরুষেরা তালাক দিতে ইন্টারনেট আর মুঠোফোনের ব্যবহার করা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, হায়দারাবাদ পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে গত কয়েক মাসেই এ ধরনের তালাকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মে ২০,২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন, নিউজরুম এডিটর/আরআর