ঢাকা: মোবাইল ফোন ব্যবহার সাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে-এটি সবার জানা কথা হলেও গবেষণার মাধ্যমে এ প্রমাণ পাওয়া গেছে। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় রক্ত চাপ ঝুঁকিপুর্ণ মাত্রায় বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রানসিসকোতে আয়োজিত আমেরিকান ব্লাড প্রেসার সোসাইটির বাৎসরিক আলোচনা সভায় গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইতালির পিয়াসেনজার গুগলিয়েলমো ডা সেলিসেটো’র গবেষকরা মৃদু রক্ত চাপ রয়েছে এমন ৯৪ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা চালান। ৫৩ বছর বয়সী ওই ওসব রোগীকে কমপক্ষে ৩ বার করে ফোন দেন তারা।
ডাক্তারের পরামর্শ কক্ষে আরামদায়ক চেয়ারে বসে থাকার সময় স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে রক্তচাপের রিডিং নেওয়া হয়। দেখা গেছে, রোগীরা যখন ফোনে কথা বলে বা ফোন কল রিসিভ করেন তখন তাদের রক্তের চাপ ১২১/ ৭৭ থেকে ১২৯/৮২ পারদে উঠে আসে।
অর্থাৎ ফোন কল রিসিভ করার আগে রোগীর হৃদপিণ্ডের স্পন্দন স্থির বা শান্ত। ফোন রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে তা লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যায়। রক্তচাপের এই উচ্চ-মাত্রাকে ঝুঁকি হিসেবে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, যাদের বয়স ২০ বা যারা প্রাপ্ত বয়স্ক তাদের স্বাভাবিক রক্তচাপ হচ্ছে ১২০/৮০-এর কম।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ওপর আকেরটি গবেষণা চালিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (এইচডব্লিউও)। ওই দেখতে পাওয়া গেছে, রাশিয়ায় ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের প্রায় অর্ধেক ও ৭০ এর ওপর বয়সীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন।
আটলান্টাভিত্তিক মোবাইল প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়্যারলেস ইন্টিলিজেন্সের দেওয়া তথ্যও যোগ হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তাদের হিসাবে, রাশিয়া হচ্ছে ইউরোপের বৃহত্তম মোবাইল ফোনের বাজার।
গত বছরের জুনে ওয়্যারলেস ইন্টিলিজেন্স জানিয়েছিল, ১৪ কোটি ১৯ লাখ জনসংখ্যার রাশিয়ায় মোবাইল সংযোগ সংখ্যা ২২ কোটি ৭১ লাখ অর্থাৎ দেশটিতে মোবাইল সংযোগের হার ১৬০ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্র রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সেন্টার (সিডিসি) জানিয়েছে, ৩০ শতাংশ প্রাপ্তবয়সীদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। সেখানে জনসংখ্যার তুলনায় মোবাইল ফোন সংযোগের হার ১০৩ শতাংশ। যেহেতু ৩১ কোটি ১৬ লাখ লোকের বিপরীতে মোবাইল ফোনের সংযোগ সংখ্যা ৩২ কোটি ১৭ লাখ।
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে সরাসরি মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com