ঢাকা: সন্তানদের মেদবহুল শরীরের জন্য মা দায়ী! আর এটি হয় প্রসূতিকালে মায়ের খাদ্যাভাসের কারণে। শুধু স্থূলতাই নয় এলার্জি, হাঁপানি, হৃদজনিত বিভিন্ন রোগে সন্তানদের আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারটিও মায়ের পেটে থাকার সময়ই নির্ধারিত হয়।
মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে এমন কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞান বিষয়ক ও শিক্ষামূলক দাতব্য সংস্থা ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের জানা উচিত যে প্রসূতিকালে ও সন্তান-সম্ভাবা হবার আগে তাদের ওজন ও স্বাস্থ্য একটি নবজাতকের ভবিষ্যৎ সুস্থ এবং দীর্ঘায়ু করার জন্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
বিএনএফএর টাস্কফোর্স পুষ্টি ও নবজাতকের বেড়ে ওঠার নানা দিকসহ নবজাতকের ওপর মা’য়ের স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব নিরুপণ করে দেখছে।
টাস্কফোর্সের সভাপতি প্রফেসর টম স্যান্ডার্স বলেছেন, “প্রমাণ অনুসারে দুর্বল ভ্রুণীয় বৃদ্ধি বিশেষ করে শৈশবকালে দ্রুততর বৃদ্ধি পরবর্তীতে স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে জড়িত হতে পারে। দুর্বল ভ্রুনীয় বৃদ্ধির ফলে বৃক্কের গঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এতে নবজাতকরা সামান্য লবণেও রক্ত চাপের প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। পরবর্তীতে এর থেকে হৃদজনিত রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ”
প্রতিবেদনটি স্থূলতার কারণ নিরূপন করতে গিয়ে দেখা গেছে, অন্যদের তুলনায় কিছু মানুষের ক্ষেত্রে পরিণত বয়সে অতিরিক্ত পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস মায়ের গর্ভে থাকার সময়েই গড়ে ওঠে।
ইংল্যান্ডের প্রায় অর্ধেক মা সন্তান-সম্ভাবাকালে হয় অতিরিক্ত ওজন না হয় স্থূলকায় শরীরের হয়ে থাকে। মায়ের স্থূলতায়ই জৈবচক্রে শিশুদের ওপর বর্তায় ।
বিএনএফ-এর সায়েন্স কর্মসূচির ব্যবস্থাপক সারা স্ট্যানার বলেন, “দ্ব্যর্থহীন প্রমাণ রয়েছে যে স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনসংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে মা ও তার সন্তানদের জীনের প্রভাব রয়েছে। ”
তিনি আরও বলেন, “স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য এই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। গর্ভকালীন সময়েই সন্তানের প্রাপ্তবয়স্ককালে স্থূলতা সহ আরও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার সম্ভাবনা নির্ধারণ করা সম্ভব। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ২১ মে, ২০১৩
সম্পাদনা: বুশরা ফারিজমা হুসাইন ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর