ঢাকা: অনেক বছর যাবৎ আনিতা ঝাং এর প্রতিবেশিরা তার সঙ্গে মজা করে বলতো, যদি কখনো ঝড় হয় তবে মানুষ বাচাঁর জন্য ঝাং এর চাইনিজ রেস্টুরেন্টের কক্ষের মত ফ্রিজে ঢুকে থাকবে।
সোমবার ওকলাহোমা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালি টর্নেডোটি ঝাং এর প্রতিবেশিদের সেই মশকরাটি সত্যে পরিনত হলো।
১০ বছর আগে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ৫৭ বছর বয়সী আনিতা ঝাং তার পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ৭ বছর আগে তিনি মুরের দক্ষিণ পশ্চিমের ১৯নং সড়কের একটি শপিংমলে হংকং চাইনিজ রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্টুরেন্ট খোলেন। পারিবারিক মালিকানাধীন, উন্নত মানের স্বুস্বাদু খাবার এবং দ্রুত পরিবেশনের জন্য রেস্টুরেন্টটির খ্যাতি ছিল।
সোমবার আনিতা ও তার ভাই মাইকেল ঝাং(৫০) রেস্টুরেন্টে বসে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ঝড়ের খবর দেখছিলেন। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায় এবং আশেপাশের দুর্যোগের সাইরেন বাজতে থাকে। টর্নেডোটি এগিয়ে আসতে থাকে।
ঝাং তার ভাইকে নিয়ে একটি কম্বল জড়িয়ে তার রেস্টুরেন্টের হিমঘরে(ওয়াক ইন ফ্রিজার)ঢুকে যান।
ঝাং বলেন, “আমি ভেবেছিলাম ভুমিকম্প হচ্ছে। মনে হচ্ছিল ভবনটি দুলছে। তখন অনেক জোরে জোরে শব্দ হচ্ছিল এবং বাতাস বইছিলো। আমি ভেবেছিলাম শুধু রেস্টুরেন্টের কাচের দরজাটি ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু বাইরে বের হয়ে দেখি কিছুই নেই। ”
ঝাং এর দুর্ভাগ্য যে তাদের রেস্টুরেন্টটি ধ্বংস হয়ে গেছে, রেস্টুরেন্টটি আবার তৈরী করতে অনেক সময় লাগবে কিন্তু ঝাং খুশি যে তার পরিবারের সদস্যদের কোন ক্ষতি হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, মে ২২ ২০১৩।
সম্পাদনা: আশুরা জামান ও কবির হোসেন, নিউজরুম এডিটর- eic@banglanews24.com