ঢাকা: লন্ডনে সৈন্য হত্যার ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের একজন নারী ও অন্যজন পুরুষ।
গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন পুরুষের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। মাইকেল আদেবোলাজো বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আদেবোলাজো নাইজেরীয় বংশোদ্ভুত। যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া আদেবোলাজো ১০ বছল আগে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন।
বুধবার একটি সামরিক ছাউনির কাছে ছুরিকাঘাতে নিহত হন লি রিগবি। এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।
নিহত ওই সেনা ২০০৯ সালে আফগানিস্তানে দায়িত্বরত ছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সহকর্মীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ও চালাক ছিলেন ড্রুমার রিগবি।
একটি বিবৃতিতে লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, এ (ঘটনার ) তদন্ত খুবই বড়, জটিল ও দ্রুত যা এগিয়ে চলছে। তদন্তে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এবং তদন্ত ভালোভাবে এগুচ্ছে। ”
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে ছয়টি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ লন্ডনের গ্রিনউইচে তিনটি, পূর্ব লন্ডনের রমফোর্ডে একটি, উত্তর লন্ডনে একটি এবং মধ্য ইংল্যান্ডের লিঙ্কনের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
গুলিবিদ্ধ সন্দেহভাজন ওই দুই হামলাকারীকে পৃথক দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে তারা আহত হয়।
একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই দুই সন্দেহভাজনকে আগে থেকেই জানত গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৫।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশ মুসলমানদের ওপর যেন কোনো ধরনের হামলা বা ঘটনা না ঘটে সেজন লন্ডনের রাস্তায় অতিরিক্ত এক হাজার ২শ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবা এক বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সহিংস চরমপণ্থা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
ওবামা বলেন, “জুনে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের আয়োজিত জি-৮ সম্মেলেনে অংশ নিতে যুক্তরাজ্য যাচ্ছি। ওই সম্মেলনে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকি আলোচনা করা হবে যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। ”
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের জরুরি গোয়েন্দা কাউন্সিল কোবরার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, “দেশ যৌথভাবে সহিংস চরমপন্থাকে পরাজিত করবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com