ঢাকা: ২৫ বছর আগে কর্মীরা যে পরিবেশে কাজ করত সেই পরিবেশ আর নেই। এখন কাজ করতে হচ্ছে অধিক চাপের মধ্যে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি সরকারি প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বিষয়ক কমিশন একটি জরিপের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ কর্মী জানিয়েছেন, কর্মজীবনের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ বা এরও বেশি সময় খুব দ্রুত গতিতে কাজ করতে বলা হয়েছে।
বেশির ভাগ কর্ম দিবসে ‘কঠিন সময়সীমা মধ্যে কাজ শেষ করার’ চাপে থাকতে হয় বলে জানিয়েছেন প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
আর চাকরি হারানোর শঙ্কা ভোগা কর্মীদের হার অন্যান্য বছরের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। দেখা গেছে, প্রতি চারজন কর্মীর একজন চাকরি হারানোর শঙ্কায় ভোগেন।
যুক্তরাজ্যের কর্মের সংস্কৃতির ওপর তদন্তমূলক ওই প্রতিবেদনটিতে কাজের চাপ, চাকরি হারানো বা অন্য চাপের জন্য দোষারোপ করা হয়েছে প্রযুক্তিকে।
উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে, ব্লাকবেরি ব্যবহারকারী একজন কর্মীর সঙ্গে ইমেইলে বা ফোনে যখন-তখন যোগাযোগ করা যায়। হয়ত ওই কর্মী অফিস থেকে এই মাত্র বের হলেন বা ছুটিতে আছেন কিংবা সাপ্তাহিক ছুটি কাটাচ্ছেন অথবা ঘুমিয়ে আছেন।
ইন্সটিটিউট অব এডুকেশনের অধ্যাপক ফ্রান্সিস গ্রিন বলছেন, “নতুন প্রযুক্তি কর্মীদের অধিকতর অব্যাহতভাবে কাজ করতে সক্ষম করে তুলেছে, কর্ম দিবসের ফারাক কমিয়ে দিয়েছে এবং বাড়ি যাওয়ার সময় পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। ”
তিনি বলছেন, হয়ত কর্মীরা নিজেই ‘স্বপ্রণোদিত হয়ে কর্মঠ’ হচ্ছে অথবা বস ‘নতুন সম্ভাবনা’র উপকারিতা ভোগ করছে অথবা দুইয়ের সমন্বয় হতে পারে।
ল্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্ট স্কুলের অধ্যাপক ক্যারি কোপার বলেন, “প্রযুক্তি কর্মীদের জীবনাচরণকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ”
তিনি বলেন, “কর্মী এবং নিয়োগকর্তাদের শক্তির ভারসাম্যকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি ফ্রান্সেস ও’গ্রাডি বলেন, “অনেক কর্মক্ষেত্রে যে ভীতির পরিবেশ রয়েছে তা কর্মীদের জন্য যেমন চাপজনক তেমনি অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। ” তিনি আরও বলেন, “চাকরির নিরাপত্তা হীনতা ও অতিরিক্ত কাজের চাপ মানুষকে যেমন করে তোলে কম উৎপাদনশীল তেমনি অসুস্থ করে তোলে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com